• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারকার্য চলাকালে বিচারকের টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর


নাহিদ আল মালেক, বগুড়া আগস্ট ১৩, ২০১৮, ০৭:০২ পিএম
বিচারকার্য চলাকালে বিচারকের টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর

বগুড়া : বিচারকার্য চলাকালে বগুড়ায় এজলাসে বিচারকের টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া জজ কোর্ট ভবনের তৃতীয় তলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বিচারক এ কে এম ফজলুল হকের এজলাসে। ঘটনার সময় ওই বিচারক উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।

ভাঙচুরের ঘটনার পর পরই বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামানসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা আদালত পরিদর্শন করেছেন। তবে এ বিষয়ে আদালতের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জী প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে ওই ভাঙচুর চালিয়েছেন। তবে পিপি নরেশ মুখার্জী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দুপুর ১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের ভেতরে গিয়ে বিচারকের টেবিলের দক্ষিণ কোণের কাঁচ ভাঙ্গা দেখা যায়। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় ওই মামলার আসামিদেরও দেখা যায়। এ প্রতিবেদকের সামনেই বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু এবং সদর থানার ওসি এস এম বদিজ্জামানসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টুর সামনে আদালতের পেশকার ওয়াহেদুজ্জামান ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিপি সাহেব (অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জী) প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে সাহেবের (বিচারকের) টেবিলের কাঁচ ভেঙ্গেছেন।’ পাশে থাকা আদালতের জারীকারক আবুল কালাম আজাদ এ সময় তার কথার সমর্থন জানান। এ সময় বার কাউন্সিলের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু ঘটনাটিকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পিপি অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেছি। তার পরেও যখন আসামিদের জামিনের কথা বলা হলো তখন আমি বাদীর দেনমোহরের বিষয়টি উত্থাপন করি। আর তখনই অ্যাডভোকেট আতিকুল মাহবুব সালাম আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত অ্যাডভোকেট খালিকুল ইসলামও আমার ওপর চড়াও হন। এরপর বিচারক এজলাস ত্যাগ করলে আমি বেড়িয়ে আসি। তারপর কি হয়েছে আমি কিছু জানি না।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!