• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিচারপতি অপসারণে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে’


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৪, ২০১৬, ০১:৪২ পিএম
‘বিচারপতি অপসারণে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে’

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘হাইকোর্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করায় বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি নিয়ে এখন সাংবিধানিক শূন্যতা চলছে। এখন যদি কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।’

আজ (২৪ অক্টোবর) সকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা বলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরাতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল আনা হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়।

সংবিধানের এই সংশোধনী আনার আগে বিচারপতি অপসারণের প্রয়োজন পড়লে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার বিধান ছিল। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত এই কাউন্সিল বিচারকদের আচরণবিধিও নির্ধারণের কাজ করত। তদন্ত করার পর কাউন্সিল যদি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন দেয় যে, তার মতে উক্ত বিচারক তার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন অথবা গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হয়েছেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি তার আদেশের মাধ্যমে উক্ত বিচারককে তার পদ থেকে অপসারিত করবেন।

তবে সরকার এই বিধান বাতিল করে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতাও সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার কথা জানায়।

এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ওই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন হয়।  দেড় বছর পর চলতি বছরের ৫ মে এই সংশোধনী সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বিশেষ বেঞ্চ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

হাইকোর্টের এই রায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানালেও এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়ের নথি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি এক মাসের মধ্যেই তা পেয়ে যাবো। আর নথি পেলেই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বাতিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!