• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারহীনতায় শিশু ধর্ষণ বাড়ছেই


বিশেষ প্রতিনিধি এপ্রিল ১০, ২০১৭, ০১:১৩ পিএম
বিচারহীনতায় শিশু ধর্ষণ বাড়ছেই

ঢাকা: দেশে গণধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এছাড়া এ বছরের প্রথম তিন মাসে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৪৫টি। যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। শিশু ধর্ষণের এ চিত্র পাওয়া গেছে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) বছরওয়ারি পরিসংখ্যান থেকে।

বিএসএএফের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে মোট ১৪৫টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ২০১৬ সালে একই সময়ে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা ছিল ৯৬টি। অর্থাৎ, তিন মাসে ৪৯টি বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

পাশাপাশি, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় একটি শিশুকে। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার হয়ে একটি শিশু আত্মহত্যা করে। প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে বেশ কয়েকটি। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে শিশু ধর্ষণের মোট ঘটনা ছিল যথাক্রমে ৫২১ ও ৪৪৬টি। একই সময়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। একই সময়ে গত বছরে এই সংখ্যা ছিল ১২।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের বেশ কজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। তাদের প্রত্যেকেই শিশু ধর্ষণের ব্যাপারে প্রায়ই একই কথা বলেছেন।

বিএসএএফের পরিচালক আবদুস শহীদ মাহমুদ শিশু ধর্ষণ বাড়ার কারণ হিসেবে বলেন, মোটা দাগে কয়েকটি কারণে শিশু ধর্ষণ আবার বাড়ছে বলে মনে করছি। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা পাশাপাশি বিচার সম্পন্ন হওয়ার পরেও শাস্তি কার্যকর না হওয়া। ইন্টারনেটের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং পর্নোগ্রাফিও অপরাধ সংগঠনে উদ্বুদ্ধ করে। পাশাপাশি, মাদকের ব্যাপকতা একটি বড় কারণ।

এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, এ অপরাধ প্রতিরোধে কয়েকটা ধাপে কাজ করতে হবে। প্রথমত, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তৃতীয়ত, আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের এক আইনজীবী বলেছেন, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে অপরাধের সংখ্যা ওঠা-নামা করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতিও একটি বড় কারণ। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে দরকার দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা; যা মানুষের অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করবে। পাশাপাশি, নিম্নবিত্ত পরিবারে শিশুদের দেখভালের বিষয়ে গুরুত্ব বাড়াতে হবে।

আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভারসাম্যহীনতা, আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়া এবং অভিভাবকের অসচেতনতা শিশু ধর্ষণ বৃদ্ধির বড় কারণ। প্রতিরোধে দরকার দ্রুত বিচার এবং অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!