• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা এবং টিম রোবোসিক্সের চমক


এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও মার্চ ১৫, ২০১৮, ১০:১৫ এএম
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা এবং টিম রোবোসিক্সের চমক

ঠাকুরগাঁও: ৩৯তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরা ভবনের প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা চলছে। আয়োজনের ২য় দিন শেষ বিকেলে আগ্রহভরে গিয়েছিলাম বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

শহরের ডজনখানেক স্কুল-কলেজ মিলিয়ে তিন ডজন স্টল। বিজ্ঞানচর্চার এই মেলাতেও বিয়েবাড়ির স্বাদ পেলাম। চারপাশে রসবিহীন হিন্দী গানের কান ফাটানো আওয়াজ, কান ঝালাপালা হয় অবস্থা।

এতোসবের মাঝেও মেলা প্রাঙ্গণে জ্ঞানপিপাসুদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে মেলা প্রাঙ্গণে আসার পর থেকে একটি স্টলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী ছেলে-বুড়োর ভিড় দেখতে পেলাম। একটু আগ্রহ নিয়েই স্টলটির দিকে এগোলাম। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান আইটি ও গণিত ক্লাবের রোবোসিক্স নামক এক টিমের স্টল।

দলনেতা এইচ.এম. ইবতিহাল উৎস ৩৭ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় রোড সেফটি প্রকল্প প্রদর্শন করে চাম্পিয়ান হয়েছিল, ৩য় বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় রানার্স আপ হয়েছিল এবং ন্যাশনাল হাই স্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সেকেন্ড রানার্স আপ হয়েছিল। আর তাই হয়তো অন্য সব স্টলের তুলনায় তার স্টলে উৎসুক জ্ঞানপিপাসুদের ভিড়টা খানিক বেশি।

হিসাববিজ্ঞান নিয়ে অনার্স পড়লেও উচ্চ মাধ্যমিক অব্দি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলাম। এছাড়া এক বিজ্ঞান ক্লাবের পরিচালক হওয়ার দরুন বিজ্ঞান ফেস্ট, বিজ্ঞান মেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য ভেতর থেকে টান অনুভব করি। যাকগে ওসব কথা। প্রোজেক্টটির ব্যাখ্যা খুব সুন্দরভাবে শুনলাম।

প্রোজেক্টটি কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি: প্রোজেক্টটি যেসকল মানুষ বাক-প্রতিবন্ধী, মূলত তাদের উদ্দেশ্যে উদ্ধাবন করা হয়েছে। আমরা জানি যে, বাক-প্রতিবন্ধীরা কথা বলতে না পারায়, ‘সাইন ল্যাংগুয়েজ’ ব্যাবহার করে, মনের ভাব প্রকাশ করে। কিন্তু, এই 'সাইন ল্যাংগুয়েজ' টি জনসাধারণ বুঝতে পারে না। এজন্য বাক-প্রতিবন্ধীরা অপর এক সাধারণ মানুষের সাথে কথোপকথন করতে পারে না, মনেরভাব প্রকাশ করতে পারে না। এই প্রোজেক্টটি বাক-প্রতিবন্ধীদের এই সাইন ল্যাংগুয়েজ যেন জন-সাধারণ বুঝতে পারে, এজন্য বানানো হয়েছে।

প্রোজেক্টটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: কোনো বাক-প্রতিবন্ধী যখন তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য তার হাত ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইন দেখাবে, তখন সেই সাইনটি প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে কনভার্ট হয়ে "Voice and Text" এ রূপান্তর হবে এবং সেই সাইন এর ভিত্তিতে তার বলতে চাওয়া কথাটি আউটপুট হবে, সাউন্ড এর মাধ্যমে এবং সাউন্ড আউটপুট এর পাশাপাশি একটি টেক্সট ও আউটপুট হবে।

উপকারিতা: এই প্রকল্পের মাধ্যমে ,বাক-প্রতিবন্ধীরা খুব সহজেই তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবে এবং জনসাধারণ খুব সহজেই বাক-প্রতিবন্ধীর সেই মনের ভাবটা বুঝতে পারবে।

আমাদের বাস্তবিক জীবনে এর প্রয়োগই হতে পারে এই ধরণের আয়োজনের সর্বোৎকৃষ্ট সফলতা। ফলে যেমন একটি প্রোজেক্ট তৈরির মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়, ঠিক তেমনি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনও পূর্ণতা লাভ করে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!