• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন বিজ্ঞানীরা!


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক মার্চ ২৩, ২০১৭, ০৫:২১ পিএম
বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন বিজ্ঞানীরা!

ফাইল ছবি

ঢাকা: হাজার বছরের একটি সত্যকে পাল্টে দিতে চাচ্ছেন একদল মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞানী, লেখক, খেলোয়াড়, ফটোগ্রাফারসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তাদের দাবি পৃথিবী মোটেই গোলাকার নয়, এটি চ্যাপ্টা। এদের বলা হয় ‘ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি’।

মার্কিন বাস্কেটবল তারকা কাইরি আরভিং, বিশ্বখ্যাত ফোটোগ্রাফার সিন্ডি অর্ড-সহ অনেক সেলিব্রিটিরই এ সংঘের সদস্য। প্রতিবছর গড়ে ২০০ জন এই সংস্থায় যোগ দিচ্ছে! তাহলে বিজ্ঞানীরাই কি মিথ্যা?

‘ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি’র মতে—
* পৃথিবী একটা চ্যাপ্টা চাকতির মতো। এর কেন্দ্রে রয়েছে সুমেরু বৃত্ত। এই চাকতিকে ঘিরে থাকা ১৫০ ফুট উঁচু বরফের দেয়ালই কুমেরু। নাসার লোকেরা এই প্রাচীরটি পাহারা দেয়। তারা মানুষকে ওই প্রাচীর ডিঙাতে বাধা দেয়, না হলে লোক পৃথিবীর বাইরে পড়ে যাবে।
* চাঁদ ও সূর্য এই চাকতির উপরে পাক দেয়। তাই দিন-রাত্রি হয়। আর একটা ‘অ্যান্টিমুন’-ও এই ঘুরপাকের খেলায় রয়েছে, যাকে চোখে দেখা যায় না। তবে এর প্রকোপেই চন্দ্রগ্রহণ হয়।
* পৃথিবীর অভিকর্ষ আসলে একটা ইলিউশন। বরং ‘ডার্ক এনার্জি’ নামের একটা বল সেকেন্ডে ৩২ ফিট বেগে উপর দিকে ঠেলে এই চাকতিকে। এর উপরে দাঁড়িয়ে মনে হয়, নিচের দিক থেকে কেউ টানছে।
* পৃথিবীর গোলকাকৃতি ছবিগুলো সবই নকল। মহাকাশ-টহাকাশও বাজে কথা। নাসা ও অন্যান্য সংস্থা মহাকাশ গবেষণার নামে বিপুল অর্থোপার্জন করে।
* সায়েন্টিফিক মেথডের বাইরে ‘জেটেটিক মেথড’ নামের এক পদ্ধতি অনুসরণ করে ‘ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি’-র সদস্যরা দেখান, গোলাকার পৃথিবীর ধারণাটাই নাসার ষড়যন্ত্র।

‘ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি’-র এই আন্দোলন আসলে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানমনস্করা। কিন্তু, ‘ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি’ নিজে থেকে এমন কিছুই বলে না।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!