• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিনাবিচারে বন্দী তিনজনের জামিন


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৪, ২০১৬, ০৪:০০ পিএম
বিনাবিচারে বন্দী তিনজনের জামিন

ঢাকা: বিনাবিচারে দেড় যুগের বেশি সময় কারাগারবন্দী চারজনের মধ্যে আদালত তিনজনকে জামিন দিয়েছেন। এরা হলেন- মকবুল, সেন্টু ও বিল্লাল। অপরজন চান মিয়ার জামিন দেয়নি আদালত।

তিনজনের মামলা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে বিনা বিচারে বন্দী আরেক আসামি চাঁন মিয়াকে জামিন না দিয়ে তার মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
 
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।
 
গত ২০ নভেম্বর ওই চারজনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ চারজনকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
 
বিনাবিচারে কারাগারে বন্দী থাকা এই চারজনকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের এক  আইনজীবী আদালতের নজরে আনলে আদালত এই আদেশ দেন।
 
এই চারজনের মধ্যে চাঁন মিয়া কাশিমপুর কারাগারে ১৯৯৯ সাল থেকে বন্দী আছেন ঢাকার শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায়। যার কয়েদি নম্বর ২৮৩৪। এই দেড় যুগ চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতিই হয়নি। মামলাটি ঢাকার পরিবেশ আদালতে বিচারাধীন।
 
একই ঘটনা মাদারীপুরের মকবুল হোসেনেরও। রাজধানীর উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় ২০০০ সালে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন মকবুল। তার কয়েদি নম্বর ৬৬৬। এর পর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মকবুলের পক্ষে আইনি লড়াই করারও কেউ ছিল না।
 
মতিঝিলের এজিবি কলোনির সেন্টু কামাল গ্রেপ্তার হন ২০০১ সালে। সবশেষ গত মাসেও তাকে হাজির করা হয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ। কিন্তু ১৬ বছরে ৫৯ কার্যদিবস আদালতে হাজির করা হলেও মামলা শেষ হয়নি।
 
মামলা শেষ হয়নি কুমিল্লার বিল্লাল হোসেনেরও। তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় বিল্লাল হোসেন কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন ২০০২ সাল থেকে। তার মামলাটিও বিচারাধীন আছে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!