• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিনাবিচারে বন্দী ৪ জনকে হাজিরের নির্দেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২০, ২০১৬, ১২:২১ পিএম
বিনাবিচারে বন্দী ৪ জনকে হাজিরের নির্দেশ

দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বিনাবিচারে কারাগারে বন্দী চারজনকে আগামী ৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই চারজন হলেন-চান মিয়া, মকবুল হোসেন, সেন্টু ও বিল্লাল।

রোববার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচরপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একটি বেসরকারি চ্যানলে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতকে তাদের বিষয়ে তথ্য দিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, যিনি ওই চার আসামির বিষয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনটি তিনিই হাইকোর্টের নজরে আনেন।

উল্লেখ্য, চাঁন মিয়া গত আঠারো বছর ধরে যার পরিচয় ২৮৩৪। কাশিমপুর কারাগারে বিনাবিচারে আটক থাকা এই বন্দী ১৯৯৯ সাল থেকে বন্দি অবস্থায় আছেন ঢাকার শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায়। এই দেড় যুগ চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতিই হয়নি। মামলাটি বর্তমান বিচারাধীন ঢাকার পরিবেশ আদালতে।

একই ঘটনা মাদারীপুরের মকবুল হোসেনেরও। ৬৬৬ পরিচয়ধারী মকবুল রাজধানীর উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০০০ সালে। এর পর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মকবুলে পক্ষে আইনি লড়াই করারও কেউ ছিলো না।

মতিঝিলের এজিবি কলোনীর সেন্টু কামালের গ্রেপ্তার হন ২০০১ সালে। সবশেষ গত মাসেও তাকে হাজির করা হয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-ত এ। কিন্তু এই দীর্ঘ ১৬ বছরে ৫৯ কার্যদিবস কারাগারে হাজির করা হলেও মামলা শেষ হয়নি।

মামলা শেষ হয়নি কুমিল্লার বিল্লাল হোসেনেরও। তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় বিল্লাল হোসেন কাশিমপুর কারাগারে বন্দী রয়েছেন ২০০২ সাল থেকে। তার মামলাটিও বিচারাধীন আছে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।

এর আগে ১৬ বছর ধরে বিনাবিচারে কারাবন্দী এক ব্যক্তিকে জামিনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একটি পুরনো সংঘর্ষ ও হত্যা মামলায় গত ২০০০ সাল থেকে ১৬ বছর ধরে বিনাবিচারে কারাবন্দী ছিলেন মোহাম্মদ শিপন নামের ওই ব্যক্তি। আগামী ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এতগুলো মানুষের বিনাবিচারে এভাবে বন্দী থাকাকে অস্বাভাবিক বলছেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না। বার কাউন্সিলের নির্বাচিত এই সদস্য বলছেন, তারা বার কাউন্সিলের পক্ষে এসব বন্দীদের আইনি সহায়তা দিতে চান।

সে লক্ষ্যে গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিনাবিচারে বন্দি আছেন, এমন লোকের তালিকা চেয়ে দেশের সবগুলো কারাগারে চিঠি দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কার্যালয়। এরইমধ্যে ৫৬ বন্দির তালিকা, আইজি প্রিজন্স কার্যালয়ে পাঠিয়েছে কাশিপমপুর কারা কর্তৃপক্ষ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!