• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিভাগের নামে মুসলিম থাকায় চাকরি পেতে অসুবিধা!


ইবি প্রতিনিধি আগস্ট ১৬, ২০১৭, ০৮:৪৭ পিএম
বিভাগের নামে মুসলিম থাকায় চাকরি পেতে অসুবিধা!

কুষ্টিয়া: বিভাগের নামের সঙ্গে ‘মুসলিম’ শব্দ থাকায় চাকরি পেতে অসুবিধা হয় শিক্ষার্থীদের। তাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (১৬ আগষ্ট) অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলে (এসি) এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের নাম থেকে থেকে ‘মুসলিম বিধান’ অংশটুকো বাদ দিয়ে বিভাগের নাম ‘আইন বিভাগ’ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসির সদস্যরা। একই সঙ্গে আরো দুইটি বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম শব্দ বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ইবির আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমমানের সিলেবাস অধ্যয়ন করে। কিন্তু বিভাগের নামের সঙ্গে ‘মুসলিম’ বিধান থাকায় চাকরির ভাইভাতে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।

এদিকে বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ‘আল-ফিকহ্’ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ’ করা হয়েছে। একই কারণে ‘ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ (ইইই) করা হয়েছে। এখন বিভাগ তিনটির নাম পবির্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সিন্ডিকেরে অপেক্ষায় থাকতে হবে। সিন্ডিকেটে পাশ হলেই পরিবর্তিত নাম ব্যবহার করতে পারবে বিভাগ তিনটি।

আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের ছাত্র ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা চার বছরে ২৬‘শ নম্বরের সাধারণ আইন এবং ৬‘শ নম্বরের ইসলামী আইন পাঠ করে থাকি। এর পরেও আমাদের বড় ভাইয়েরা অভিযোগ করেন, তাদেরকে বিভিন্ন চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করা হয়।’

নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি এবং বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে পাঠাই।’ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিভাগের মানে ‘মুসলিম বিধান’ শব্দটি থাকায় তারা ভাইভা বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।

আপনি কি মনে করেন যে, ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা ইসলাম বিরোধী বা মুসলিম বিরোধী? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে বিষয়টি তেমন না। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আইন বিভাগ’ নাম তাই আমাদের নামটি একটু ভিন্ন দেখে তারা হয়তো শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করেন।’

ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে তিনটি বিভাগের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!