• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের বকেয়া ৪৯২৬ কোটি টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৪, ২০১৬, ০৮:৫৬ পিএম
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের বকেয়া ৪৯২৬ কোটি টাকা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, সরকারি-বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার (৪৯২৬ কোটি টাকা) বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-১২ আসনের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ছিল মোট ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৪৮৪ কোটি ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৮৫ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের।আর বেসরকারি খাতে বকেয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বিদ্যুত বিলের বকেয়া আদায়ে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও সংসদের সামনে তুলে ধরেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গত ফেব্রুয়ারির অধিবেশনে নসরুল হামিদ সংসদকে ডিসেম্বরের হিসাব দিয়ে বলেছিলেন, দেশে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা।

চামড়া শিল্পনগরীর কাজ এ বছরই শেষ করার আশা

ট্যানারি কারখানা স্থানান্তরের জন্য উদ্যোক্তাদের ‘বারবার’ তাগিদ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই চামড়া শিল্পনগরীর কাজ শেষ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তার এই উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে শিল্পমন্ত্রী জানান,  সাভারে ১৯৯.৪০ একর জমির উপর চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন করা হয়েছে। এতে সিইটিপি ছাড়া সব অকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। শিল্পনগরীর ২০৫টি প্লট ১৫৫টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হাজারীবাগ থেকে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে কারখানা স্থানান্তরের অংশ হিসেবে ১৫৫টি শিল্প কারখানার মধ্যে ১৫৩টির লে-আউট প্ল্যান অনুমোদন পেয়েছে। লে আউট অনুযায়ী ইতোমধ্যে ১৪৩টি প্রতিষ্ঠান তাদের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণের কারণে বাকি ১২টির নির্মাণ কাজ স্থগিত রয়েছে।

‘গত ১৩ এপ্রিল ট্যানারি মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্ধারিত সময়ে কারখানা স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জরুরি ভিত্তিতে কারখানা স্থানান্তরের জন্য উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিল্প উদ্যোক্তাদের ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য পুনঃ পুনঃ তাগিদ দেওয়া হচ্ছে,’ বলেন মন্ত্রী।

চামড়া শিল্প নগরীর সার্বিক নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংসদকে জানান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!