• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিমান দুর্ঘটনা, গণমাধ্যমের কৌতূহল প্রায় বাড়াবাড়ি পর্যায়ে


মিডিয়া ডেস্ক মার্চ ২১, ২০১৮, ০৫:২১ পিএম
বিমান দুর্ঘটনা, গণমাধ্যমের কৌতূহল প্রায় বাড়াবাড়ি পর্যায়ে

ঢাকা: জনপ্রিয় উপস্থাপক ও টিভি ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমের কৌতূহল প্রায় বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিমান ছাড়াও নানা দুর্ঘটনায় মানুষ মরে। গত বছর নানা দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে ৭৩৯৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যেও দম্পতি, শিশু, পরিবার, ধনী, গরিব, সব ছিল। এরাও কারও আদরের ভাই-বোন বা সন্তান।’

নিজের ফেসবুকে দেয়া একটি স্ট্যাটাসে তুষার বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুকে নিয়ে গল্প, করুণ কাহিনী, নানা রকম শোকগাথা বর্ণনা করে মৃতদের আত্মীয় স্বজনদের বেদনাকে জিইয়ে রাখা, স্বজনদের প্রতি এক ধরনের অত্যাচার। এভাবে দীর্ঘ সময় মেন্টাল ট্রমার মধ্যে রেখে তাদের মধ্যে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার তৈরি করা সভ্য কাজ নয়। এসব রিপোর্ট আমাদের মধ্যে আহারে আহারে অনুভূতি তৈরি করা ছাড়া আর কারও কোনো কাজে লাগে না।’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তুষার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো সংবাদ মাধ্যম ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সেফটি রেকর্ড, তাদের পাইলটদের সুযোগ সুবিধা, ওই ফ্লাইটটির সেফটি রেকর্ড, নেপালের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের অবস্থা, আমাদের সিভিল এভিয়েশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে ক্ষুরধার কোনো কিছু বলে নাই। কান্নাকাটির ছবি নয়, জানা দরকার দুর্ঘটনার আসল কারণ। নিহতদের ব্যক্তিজীবন, মা-বাবার করুণ আহাজারি, পাইলটের স্ত্রীর অসুস্থতা, ডিম ভাজার গল্প, এসব হলো বেদনার বিপনন।’

একটি প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকার বিনোদন পাতায় প্রকাশিত একটি সংবাদের কথা উল্লেখ করে তুষার বলেন, ‘আবার মাহিয়া মাহি ত্রিভুবন বিমানবন্দরে’এরকম তামাশা হেডলাইন দিয়ে বিনোদন সংবাদ বাজারজাত করা হয়েছে। যেন মাহি বিরাট সাহসের কাজ করেছেন।’

তুষার বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনার পরে সাধারণত এয়ারলাইন্সের একই ধরনের উড়োজাহাজগুলোর সেফটি চেক ঠিকমতো হয়েছে কিনা সেটা আবার দেখা হয়। আজকেও বাংলাদেশ বিমানের একই ধরনের একটি জাহাজ যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য উড়বার পরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু তাই না, ইউএস বাংলার মালিক কে? তাদের নাম-ধাম ছবি, ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ও আচরণ নিয়ে একটি শব্দও লিখে নাই। বিমান দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে প্রচার সংখ্যা কিংবা রেটিং পয়েন্ট বাড়ানোর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণও জরুরি।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!