• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানবন্দরে আগুন: সামাল দিতে পারবে না মুম্বাই! (ভিডিও)


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১০, ২০১৭, ০৭:২০ পিএম
বিমানবন্দরে আগুন: সামাল দিতে পারবে না মুম্বাই! (ভিডিও)

ঢাকা: অগ্নিকাণ্ডের সময়ে নিরাপত্তা দিতে ও জরুরি পরিস্থতি সামাল দেয়ার সক্ষমতা নেই ভারতের মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। প্রায়াত নেতা ছত্রপতি শিবাজীর নামের এই বিমানবন্দরটি কতটুকু নিরাপদ তা জানতে একটি বিমানে ভুয়া আগুন লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই মহড়ায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও জরুরি সেবার সক্ষমতার চিত্র ফুটে উঠেছে। যা মোটেও সন্তুষ্ট করতে পারেনি আয়োজকদের।

এক টানা ৪ ঘণ্টা ধরে চলা মহড়া শেষে আয়োজকরা জানালেন, জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সক্ষমতা নেই এই বিমানবন্দরের। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ব্ল্যাক প্যান্থার নামে যৌথভাবে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। এজন্য সকাল দশটার দিকে বিমান সংস্থা ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আগুন লাগানো হয়। ওই বিমানে ১৭০ জন ডামি যাত্রীও রাখা হয়। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসের দল ও প্রয়োজনীয় সংস্থাগুলো ছুটে আসে। বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কৃত্রিমভাবে বিমান বিপর্যয় ঘটানো হয়। এই মহড়ায় মুম্বাই বিমানবন্দরের বিভিন্ন নিরাপত্তা বিভাগ, টার্মিনালস, এয়ার সাইড অপারেশনস, ইঞ্জিনিয়ার, নিরাপত্তা ও চিকিৎসা পরিষেবা ইত্যাদির সকলেই তাদের দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চার ঘণ্টা সময় লাগে। এসময় ডামি যাত্রীদের মধ্যে ৮ জনই আগুনে পুরে মারা গেছে। তাদের বাদে সবাইকে উদ্ধার করা গেছে।

এ বিষয়ে সিআইএসএফ-এর এক কর্মকর্তা বলেন, এই মহড়ার পর বুঝা গেল জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলে বিমানবন্দরের সব বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। প্রচুর সমস্যা ধরা পড়ল এই মহড়ায়। বিমানবন্দরের এই ব্যর্থতায় সাবেক বিমান চালক ও বিমান বিশেষজ্ঞ বিপুল সাক্সেনা বলেন, আমি খুবই চিন্তিত মুম্বাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে। বাস্তবে যদি কোনও জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয় আদৌ কী বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা তা সামাল দিতে পারবে?

মহড়ার অংশ হিসেবে মুম্বাইয়ের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, ১৬টি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংগঠন-অভিবাসন, কাস্টম, সিআইএসএফ, পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবেলা অধিদপ্তর দফতরকে সঙ্গে নেয়া হয়। ৮শ স্বেচ্ছাসেবক এই মহড়াতে আহত যাত্রী, বিমান কর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেন।

মহড়ার অংশ হিসেবে বিমানে আগুন লাগার পরই আশপাশের আবাসিক এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করে। যা ভাইরাল হয়ে যায়। এসময়ে বিমানবন্দরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অনেকের মাঝে। পরে অবশ্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাই জানতে পারে এটি একটি নিরাপত্তা মহড়া।

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংগঠন ও ডিজিসিএ যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি বিমানবন্দরে দু’বছরে একবার এ ধরনের মহড়া হবে। যাতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার বিষয়টি বুঝা যায়।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!