• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিরোধ নিয়েই আঞ্চলিক ইস্যুতে একহচ্ছে চীন-ভারত!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭, ০৬:০৮ পিএম
বিরোধ নিয়েই আঞ্চলিক ইস্যুতে একহচ্ছে চীন-ভারত!

ঢাকা: আঞ্চলিক আধিপত্য, পররাষ্ট্রনীতি ও অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে ভারতের। অর্থনীতি ও কৌশলগত দিক দিয়ে কিছুটা দুর্বল থাকায় চীনের বিরুদ্ধে মুখ ফুটে কিছু বলছে না ভারত। কিন্তু এবার দুই দেশের বাইরে আঞ্চলিক ইস্যুতে চীনের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় ভারত।

আফগানিস্তানের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে যৌথভাবে কাজ করতে একমত হতে চলেছে এশিয়ার এ দুটি দেশ। এজন্য একটি অভিন্ন নীতি তৈরি করার কাজ চলছে বলে ভারতীয় মিডিয়া জানিয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয়ে মত পার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে তৃতীয় দেশ আফগানিস্তানের বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান নেয়ার বিষয়ে চীন এবং ভারত চিন্তা করছে বলে খবরে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শংকর চীন সফর করেন। সেই সফরে এই অভিন্ন নীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমন প্রস্তাবে চীন সায় দিতে পারে বলে ইঙ্গিত পেয়েছে ভারত সরকার।

বেইজিং সফরকালে চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার জাং ইয়েসুইের সঙ্গে জয়শংকরের বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ পুনরায় শুরু হয়েছে বলেও ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এ বৈঠকে উভয়ে চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। বিশ্ব যখন নতুন করে উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করছে তখন এ তৎপরতা চলছে বলে ভারতের পদস্থ কর্মকর্তারা জানান।

পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠী বা এনএসজি’তে ভারতের সদস্য পদ লাভ, জাতিসংঘে মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী ঘোষণার চেষ্টা এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নিয়ে বেইজিং এবং নয়াদিল্লির মধ্যে প্রবল মত পার্থক্য রয়েছে। এছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চীনের রয়েছে দীর্ঘদিনের বিরোধ। ভারতের ঘোষিত শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের রয়েছে বিশেষ সখ্যতা। তাতেও ভারতের আপত্তি রয়েছে।

এসবের পরেও চীন-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে চলছে। বিশ্ব মন্দার কারণে ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে তাদের মধ্যে ৭০.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর আগের বছরে হয়েছিল ৭২.৩৪ বিলিয়ন ডলার।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!