• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিলুপ্ত হচ্ছে বিতর্কিত ৫৭ ধারা


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৯, ২০১৭, ০৫:৩০ পিএম
বিলুপ্ত হচ্ছে বিতর্কিত ৫৭ ধারা

ফাইল ফটো

ঢাকা: অবশেষে বহুল আলোচিত বিতর্কিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) ৫৭ ধারাসহ বিতর্কিত কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করেছি। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর আশা করছি আগামী শীতকালীন অধিবেশনে জাতীয় সংসদে এটি উত্থাপন করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসারিত ডিজিটাল জগতকে নিরাপত্তা দেবে এবং সেটির বিকাশে সাহায্য করবে।’

হাসানুল হক ইনু বলেন, আমাদের দেশের সংবিধানে প্রদত্ত সব ধরণের মৌলিক অধিকার এবং সংবিধানের যেসব গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি আছে, সেটার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অন্য আইন যেভাবে করে থাকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমরা সেভাবে তৈরি করেছি। এই আইন নাগরিকের সব মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করবে। সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল সমাজ গড়তে সাহায্য করবে, ডিজিটাল সমাজকে নিরাপত্তা দেবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘একই আইনে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা আছে সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আপনারা পাবেন, একই সঙ্গে ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার প্রস্তাবও যাবে।

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য বসেছিলাম। সাংবাদিকদের উদ্বেগের বিষয় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৫৭ ধারা সেভাবে থাকবে না। বাকস্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সেসব চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স দরকার, সেগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার আইনের মধ্যে থাকবে।’ কবে নাগাদ চূড়ান্ত করা হবে—জানতে চাইল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চূড়ান্ত করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলব। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটি সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে পেয়েছি। সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। আজই পাঠানো হতে পারে।’

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা।

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি দাবি করে সেটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন সম্পাদক পরিষদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপব্যবহারের কারণে এই ধারাটি ওই আইন থেকে বাদ দিয়ে তা আরো স্পষ্ট করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!