• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশাল বহর নিয়ে এশিয়ায় সৌদি বাদশা! রহস্য কি?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১, ২০১৭, ০৯:৫০ পিএম
বিশাল বহর নিয়ে এশিয়ায় সৌদি বাদশা! রহস্য কি?

ঢাকা: এশিয়ার ছয়টি দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে বের হলেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। এ সফরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রায় দেড় হাজার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়েছেন। রেখেছেন ২৫ যুবরাজ ও গুরুত্বপূর্ণ একধিক মন্ত্রী। একটানা তিন সপ্তাহের এই সফর শুরু করেছেন মালয়েশিয়া থেকে।

তার এই সফরকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দিক দিয়ে বেশ গুরুত্ব এবং মর্যাদা দিয়ে দেখছে সফরে যাওয়া দেশগুলো। বিরল এই সফর ইতোমধ্যেই বিশ্বের নজর কেড়েছে।

সৌদি বাদশাহ ১ মার্চ জাকার্তায় পৌঁছান। সর্বশেষ ১৯৭০ সালে সৌদি কোনো সরকার প্রধান ইন্দোনেশিয়া সফর করেছিলেন। এর পরে আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধান জাকার্তা সফর করেন নি। এই সফরকে স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। সৌদি বাদশাহকে বহনকারী বিমান অবতরণের জন্য ৪৫ মিনিট জাকার্তা বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি সকল বিমান অবতরণ- উড্ডয়ন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তিন বাহিনীর সমন্বয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে সৌদি বাদশাহর চলাচলের এলাকা। পুরো শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।

সৌদি বাদশাহর এ সফরে ৬২০ জন সফরসঙ্গী যাচ্ছেন এর মধ্যে সৌদি যুবরাজ হচ্ছেন ২৫ জন। এছাড়াও ৮০০ সদস্যের বিশাল এক প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে রয়েছেন। তাদের জাকার্তায় পৌঁছাতে ৭টি বিমান ভাড়া করা হয়েছে। ৪৭ বছর পরে কোনো সৌদি বাদশাহ ইন্দোনেশিয়া সফর করছেন।  আগামী ৪ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত বালি দ্বীপে অবস্থান করবেন বাদশাহ সালমান।

সৌদি বাদশাহর এ সফর এখন ইন্দোনেশিয়ায় প্রধান আলোচনার বিষয়। সর্বত্রই তার সফরের প্রস্তুতি দেখা মিলছে। পর্যটনে বিখ্যাত এই দেশকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এর পরে তিনি ব্রুনাই, জাপান, মালদ্বীপ ও চীনে যাবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে।

তেলসমৃদ্ধ এ দেশটি মুসলিম বিশ্বে ধর্মীয় কারণে বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র। সীমান্ত দেশ ছাড়া বিশ্বের অন্য দেশগুলো নিয়ে তাদের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। কিন্তু বিশাল বহরের এবারের সফরকে বিশ্ব আলাদাভাবে দেখতে শুরু করেছে।

ঠিক কি কারণে বিশাল বহরের সঙ্গী নিয়ে এশিয়ার দেশগুলো সফরে বের হলেন সৌদি বাদশাহ, তা এখনো জানা জায়নি। তবে, এই সফরে সৌদির সঙ্গে দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ যে আরো বাড়বে তা নিশ্চিতভাবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

সফর শেষে অনুষ্ঠিত চুক্তিগুলো হয়ত বলে দিবে এ সফরের কারণ।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!