• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বিশ্বের একশ’ কোটি নারী পায় না আইনি সুরক্ষা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮, ১১:০০ এএম
বিশ্বের একশ’ কোটি নারী পায় না আইনি সুরক্ষা

ঢাকা : বিশ্বে প্রতিবছর যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ১০০ কোটির বেশি নারী। অর্থনৈতিক সহিংসতার শিকার প্রায় ১৪০ কোটি নারী। নানাভাবে নির্যাতিত প্রায় ১০০ কোটি নারী কোনো আইনি সুরক্ষা পাচ্ছে না। বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

‘গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিয়নাল ট্রেন্ড ইন উইমেন লিগ্যাল প্রটেকশন অ্যাগেইনস্ট ডমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যান্ড সেক্সচুয়াল হ্যারাসমেন্ট’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে- অর্থ, শিক্ষা ও পরিবারগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন না থাকায় অভ্যন্তরীণভাবে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বাড়ির বাইরে কর্মস্থলে, স্কুলে ও জনসমাগমে নারীর যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কোনো আইনগত সুরক্ষা না থাকায় এই যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবেদনে নারীর প্রতি সহিংসতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

চিলড্রেন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ১৪১টি দেশের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনেক দেশেই নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন হয়েছে। কিন্তু গৃহ-অভ্যন্তরে নারীর সহিংসতা রোধে আইনি কাঠামো এখনো দুর্বল। দুই-তৃতীয়াংশ দেশে সঙ্গী অথবা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা দুর্বল। অর্ধেক দেশেই পারিবারিক অর্থনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো আইন নেই।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবিবাহিত নারী সঙ্গীর মাধ্যমে নির্যাতিত হলে দুই-তৃতীয়াংশ দেশে নির্দিষ্ট করে কোনো আইনি সুরক্ষা নেই। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন থাকার পরও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়গুলোর আইনি সুরক্ষা অনেক দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে এক-পঞ্চমাংশ দেশের আইনে সুনির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে নারীর প্রতি সব সহিংসতা দূর করার যে লক্ষ্য রয়েছে, তা অর্জন করতে হলে এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

নির্যাতনের কারণে কর্মক্ষেত্রে নারীর উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে নারীর আয়ে। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা স্কুলে যাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে স্কুলে মেয়েশিশুদের ঝরে পড়ার হার তুলনামূলক বেশি।

উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানি বন্ধ হলে স্কুলে মেয়েদের হার অনেক বেড়ে যাবে। ফলে তাদের কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবেদনের সহ-লেখক পল তাভারেজ উল্লেখ করেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইন হলো প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু অনেক দেশেই এই আইনি সুরক্ষা কাঠামো দুর্বল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!