• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫টি সিনেমা


বিনোদন ডেস্ক নভেম্বর ৫, ২০১৭, ০১:০৮ পিএম
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫টি সিনেমা

ঢাকা: সিনেমার মাধ্যমে মানব জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক ফুটিয়ে তোলেন নির্মাতারা। আর এর জন্য তাদের ব্যয় করতে হয় অনেক টাকা। শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও অনেক সিনেমা নির্মিত হয়েছে। আবার ব্যবসা সফলতাও পেয়েছে সিনেমাগুলো। চলুন তাহলে জেনে নিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫টি সিনেমা সম্পর্কে-

১. পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইড (২০১১)

পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইড সিনেমাটি ২০১১ সালে নির্মিত হয়। এখন পর্যন্ত হলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা এটি। এতে খরচ হয়েছিল আনুমানিক ৩৭৮.৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। এটি পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান সিরিজের চতুর্থ সিনেমা। উল্লেখ্য মুভিটি বক্স অফিসে আয় করেছিল প্রায় ১.০৪ বিলিয়ন ডলার।

২. পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: এট ওয়ার্ল্ডস এন্ড (২০০৭)

ব্যয়বহুল সিনেমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিনেমাটিও পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান সিরিজের।

এটি এই সিরিজের ৩য় চলচ্চিত্র। এর বাজেট ছিল ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। এটি ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশ লাভও করে। ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা এটি।

৩. অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন (২০১৫)

‘মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স’-এর ১১ তম চলচ্চিত্র এটি। মার্ভেলের সিনেমাটিক ইউনিভার্সে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সুপারহিরো মুভি আছে। যেমন আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, থর, হাল্ক ইত্যাদি। এদেরকে নিয়ে আলাদা আলাদা মুভি আছে। মার্ভেল টিম এদের সবাইকে একত্র করেছে একটি মুভিতে। বিভিন্ন মুভিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সুপারহিরোদের একত্র করে বলা যায় তারা একটা বৈপ্লবিক কাজ করে ফেলেছে। এজ অব আলট্রন তৈরিতে ব্যয় হয়েছিল ২৮০ মিলিয়ন ডলার।

৪. জন কার্টার (২০১২)

এতে খরচ পড়েছিল ২৬৩ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু খরচ বেশি হলেও সিনেমাটা খুব একটা ব্যবসা করতে পারেনি।   এটি ডিজনির অন্যতম ফ্লপ মুভি। কোনোরকমে ২৮৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে এটি। পোস্ট প্রোডাকশনের খরচ বাদ দিলে এটি লোকসান ছাড়া আর কিছুই নয়।

৫. ট্যাঙ্গলড (২০১০)

এই তালিকায় থাকা একমাত্র এনিমেটেড চলচ্চিত্র এটি। এতেই ব্যয় হয়েছিল ২৬০ মিলিয়ন ডলার। এনিমেটেড চলচ্চিত্রের মাঝে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ডিজনির এই চলচ্চিত্রে এত বেশি খরচ হয়েছিল সম্ভবত টানা ৬ বছর ধরে একটু একটু করে বানানোর ফলে। তাছাড়াও এতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল তা বেশ ব্যয়বহুল ছিল। বক্স অফিসে এটি আয় করেছিল ৫৯১ মিলিয়ন ডলার।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!