• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের সেইসব ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্য


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৮, ২০১৬, ০৬:২১ পিএম
বিশ্বের সেইসব ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্য

ঢাকা: দুনিয়া জুড়ে রয়েছে কত না অদ্ভুদ সব দৃশ্য। কোথাও দেখা যায়, লেক বা হ্রদে ‘হেঁটে বেড়াচ্ছে’ নুড়ি পাথর। কোথাও বা বরফ চুঁইয়ে ‘তাজা রক্তের’ দাগ। আবার কোথাও চোখে পড়ে ঠিক বাবলগামের মতো হ্রদ। কিন্তু কীভাবে এসব তৈরি হলো। এর পেছনে কীই বা রহস্য? তার কিন্তু কোনো উত্তর মেলে না। এসব দৃশ্য দেখে হতভম্ব-বিস্মিত হয় হাজারো পর্যটক। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব দৃশ্য। চলুন দেখে নেয়া যাক-

নামিবিয়ায় ফেইরি সার্কলস: প্রকৃতির এক অপার রহস্য হয়ে আছে নামিবিয়ায় ফেইরি সার্কলস। নামিব মরুভূমিতে আড়াই হাজার কিলোমিটার জুড়ে মৌমাছির চাকের মতো অসংখ্য গর্ত। কিন্তু কেন? কী তার রহস্য? কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই। অনেকের মতে, তেজষ্ক্রিয়তার জন্য এখানকার মাটি এমন। অনেকের দাবি, টক্সিনের ফলে এখানকার গাছপালা মরে এ ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে। কারণ যা-ই হোক না কেন, মাইলের পর মাইল অদ্ভুত দৃশ্য দেখে মোহিত হয়ে যান পর্যটকরা।

লেক আব্রাহামে: কানাডার আলবার্তায় লেক আব্রাহামের দিকে চোখ ফেরালে মনে হয় নীল রঙের দৈত্যাকার জেলিফিশ জমাট বেঁধে আছে। অপরূপ সুন্দর এই লেক আসলে জমাট বাঁধা মিথেন গ্যাসের বুদবুদমাত্র। লেকের জলে গাছের পাতা থেকে শুরু করে মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ ব্যাকটেরিয়া খেতে শুরু করলে অন্যরকম পরিস্থিতি দাঁড়ায়। মিথেন গ্যাস বের হতে হতে বুদবুদের আকার নেয়। তবে তা দাহ্য হওয়ায় এখানে কোনোভাবে আগুনের সামান্য ফুলকিতেও ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে।

ম্যাকমুনরো ড্রাই ভ্যালি: এ যেন হরর ফিল্মের দৃশ্য! পূর্ব আন্টার্কটিকার ম্যাকমুনরো ড্রাই ভ্যালিতে বরফের থেকে যেন ‘রক্ত’ চুঁইয়ে পড়ছে টেলর হিমবাহ ও লেক বনির মধ্যে। আসলে এটি আরেকটি উপ-হিমবাহ। ২০ লাখ বছর আগে অতি লবণাক্ত এক জলধারা টেলর হিমবাহের মধ্যে আটকে পড়ে। হিমবাহের ফাটল দিয়ে ওই জলধারা বাইরে বের হতেই অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে এই অতিপ্রাকৃতিক দৃশ্য সৃষ্টি করেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি: অনেকের মনে হতে পারে মরা লেকের উপর নুড়িপাথর হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের রেসট্র্যাক প্লায়া লেকে এই পথ দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে বহু দিনের রহস্য থাকলেও ২০০৬-এ নাসার বিজ্ঞানী র‌্যালফ লোরেঞ্জ প্রথম ধোঁয়াশা কাটিয়ে দেন। শীতকালে লেকের নুড়িপাথর বরফে ঢেকে যায়। বরফের প্লবতার জন্য সামান্য হাওয়াতেই ওই নুড়িপাথরগুলো ‘হাঁটতে’ শুরু করে। গরমকালে বরফ গলার পর ওই পাথর ঘঁষার দাগেই মরা লেকের গায়ে ওই ছাপ থেকে যায়।

জাভায় কাওয়া লিয়েন লেক: ইন্দোনেশিয়ার জাভায় কাওয়া লিয়েন লেক রয়েছে আগ্নেয়গিরির মাথায়। এক কিলোমিটার জুড়ে ফিরোজা রঙের জলভরা লেক প্রকৃতির শোভা বাড়িয়েছে। আসলে আগ্নেয়গিরির ম্যাগমা চেম্বার থেকে গ্যাসীয় অবস্থায় সালফিউরিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দেয় লেকের জলে। গলিত ধাতব-সহ সেই গ্যাসের ফলেই এ রকম চোখ জুড়োনো দৃশ্য তৈরি হয়েছে।

মেক্সিকোর হিডেন বিচ: মেরিয়েটা দ্বীপে প্লায়া দেল আমোর বেশি পরিচিতি হিডেন বিচ নামে। ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে এ দেশের সরকার পরীক্ষামূলক ভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতো। এর ফলে একটি বিশালাকায় গর্ত তৈরি হয় এখানে। দিনের পর দিন বন্যার জল আর বালি উড়ে এসে গর্ত ভরাট করে তৈরি হয়েছে হিডেন বিচ।

বাবলগাম পিঙ্ক লেক: পান্না-সবুজ রঙের ঘন বনের মাঝে সমুদ্রের ধারে হঠাৎই বাবলগাম পিঙ্ক শেডের একটি লেক। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ৬০০ মাইল জুড়ে এই পিঙ্ক লেক হিলিয়ারের রং এমন কেন তা নিয়ে এখনও কোনো সঠিক ব্যাখ্যা মেলেনি।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!