• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিকের কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার্বিক এডিপির বাস্তবায়ন কম


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৩১, ২০১৬, ১২:১৬ পিএম
বিসিকের কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার্বিক এডিপির বাস্তবায়ন কম

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার্বিক এডিপির বাস্তবায়ন জাতীয় অগ্রগতির তুলনায় কম। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) মোট ২২টি প্রকল্প ছিল। কিন্তু ওসব  প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৪৯ শতাংশ। তবে বিসিকের চামড়া শিল্পনগরী ও ওষুধ শিল্পপার্কসহ বিসিকের ১১টি  প্রকল্পে বিরাজ করছে ধীরগতি।

ওসব  প্রকল্প বাস্তবায়ন কাক্সিক্ষত না হওয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে বিরূপ  প্রভাব পড়েছে।  বিসিকের ধীরগতির  প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম চামড়া শিল্পনগরী ঢাকা (সংশোধিত) শীর্ষক  প্রকল্পটির অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ৪৬৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। যা মোট সংশোধিত এডিপি বরাদ্দের ৪৫ শতাংশ। কিন্তু সিইটিপি নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেলিপসেল-ডিসিএল-জেভির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ায় এর যন্ত্রপাতি আমদানিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। 

ফলে বিল পরিশোধ করা যায়নি এবং  প্রকল্পের অগ্রগতি কম। তাছাড়া ওই  প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের জন্য বরাদ্দ অর্থও পুরোটা ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। ওই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিইটিপির কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া স্টিয়ারিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তঅনুযায়ী শিগগিরই  প্রকল্পটির সংশোধনী  প্রস্তাবও মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিসিকের একটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্পপার্ক (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও আশানুরূপ নয়। তার কারণ হিসেবে জানা যায়  প্রকল্পের প্লট বরাদ্দের জন্য কয়েকবার বিজ্ঞপ্তি  প্রকাশ করা হলেও ওষুধ শিল্প মালিকদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির মাধ্যমে নির্মিতব্য সিইটিপির ড্রয়িং-ডিজাইনও এখনো  প্রণয়ন করা হয়নি।

প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাবে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় সেগুলো সংশোধনের জন্য বিসিককে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুনর্গঠিত ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায়নি। ওই পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে উদ্যোগ নিতে বলেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। তাছাড়া আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়োডিন ঘাটতি পূরণ শীর্ষক  প্রকল্পের মেয়াওদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ওই বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হলেও কোনো  প্রস্তাব বিসিক থেকে পাওয়া যায়নি। ওই  প্রসঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভায় অসন্তোষ  প্রকাশ করা হয়।

সূত্র আরো জানায়, বিসিক শিল্পনগরী বরগুনা শীর্ষক  প্রকল্পে স্থানীয় ঠিকাদারদের চরম অসহযোগিতার পরিলক্ষিত হয়েছে। ওই  প্রকল্পের পরিচালককে  প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে। ফলে  প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শঙ্কার মুখে পড়েছে। ওই অবস্থায়  প্রকল্প পরিচালক বদলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিসিকের বাস্ত—বায়ন কম অবস্থায় থাকা প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বিসিক শিল্পনগরী-কুমারখালী কুষ্টিয়া, বিসিক শিল্পনগরী বরগুনা, শ্রীমঙ্গল শিল্পনগরী, বিসিক শিল্প নগরী ভৈরব, বিসিক শিল্পনগরী ঝালকাঠি, রাজশাহী শিল্পনগরী সম্প্রসারণ এবং বিসিক শিল্পনগরী চুয়াডাঙ্গা।

এ  প্রসঙ্গে শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, বিসিকের প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়াতে  প্রতিটি  প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা বাস্তবতার আলোকে তৈরি করে শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!