• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বিসিবি একাডেমি কাপের ট্রফি উন্মোচন

বিসিবিকে ধন্যবাদ দিলেন মাশরাফি


ক্রীড়া প্রতিবেদক মে ১৯, ২০১৮, ০৮:৩৪ পিএম
বিসিবিকে ধন্যবাদ দিলেন মাশরাফি

ঢাকা: ভবিষ্যতের সাকিব-মাশরাফি খুঁজে বের করতে প্রথমবারের মতো একাডেমি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রোববার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় সিটি ক্লাব মাঠে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে অঙ্কুর ক্রিকেট একাডেমি ও ক্লেমন ইন্দিরা রোড ক্রিকেট একাডেমি। শনিবার (১৯ মে) মিরপুরের একাডেমি ভবনের সামনে কাপের ট্রফি উন্মোচন করেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

এ সময় মাশরাফি বলেন, ‘অবশ্যই খুব ভালো একটা উদ্যোগ। ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। ঢাকা লিগের বাইরের প্লেয়ারদের জন্য এটা বড় একটা সুযোগ। আশা করি তারা এখানে ভালো করলে বিভিন্ন ক্লাব থেকে শুরু করে বিসিবির অধীনে বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পেতে পারে। যত বেশি টুর্নামেন্ট হবে, যত বেশি খেলা হবে তত খেলোয়াড় উঠে আসবে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক একটি দিক।’

বিসিবি একাডেমি কাপের এটাই প্রথম আসর। মূলত একাডেমিগুলো থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের তুলে নিয়ে আসার জন্যই মাঠপর্যায়ে কাজ করতে যাচ্ছে বিসিবি। ঢাকা মহানগরে রয়েছে একশ’র বেশি ক্রিকেট একাডেমি। সেখান থেকে বাছাই করে ৩২টি একাডেমি নিয়ে শুরু হচ্ছে এই একাডেমি কাপ। ৪০ ওভারের এই টুর্নামেন্টটি চলবে ৫ জুন পর্যন্ত। খেলা হবে বিকেএসপি, সিটি ক্লাব মাঠ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। মূলত ঢাকার ক্রিকেট শেখানো একাডেমিগুলোকে নিয়ে ১৫ দিনের এই টুর্নামেন্ট। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা অংশ নেবে এই টুর্নামেন্টে।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন নিজ উদ্যোগে আয়োজন করছেন টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে পারায় বেশ খুশিও তিনি। সুজন বলেন, ‘এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে নতুনরা সুযোগ পাবে। এটা পাইলট প্রজেক্ট। এই বছর মাত্র ৩২টি দল নিয়ে খেলছি। টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে বলে খুশি। সামনের বছর আমাদের পরিকল্পনা আছে আরো বড় করে করার। আশা করি এখান থেকে অনেক প্রতিভা উঠে আসবে। বাবা-মা যাদের একাডেমিতে পাঠাচ্ছে ক্রিকেট শেখার জন্য তাদের জন্যও একটা বড় অনুপ্রেরণা। পরের বছর ঢাকার বাইরে থেকে দুইটা বা চারটা করে দাওয়াত দেব।’

প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য এখান থেকে ভালো মানের কিছু খেলোয়াড় তুলে এনে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রায় ৫-৬ সপ্তাহের মতো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। যে চারটা দল সেমিফাইনালে উঠবে, বিসিবি চেষ্টা করবে তাদের গেম ডেভেলপমেন্টের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসার। মূল কথা তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতেই আমাদের এমন উদ্যোগ।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!