• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন ‘রিভলবার রানি’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১১, ২০১৭, ১২:০৯ পিএম
বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন ‘রিভলবার রানি’

ঢাকা : ‘রিভলবার রানি’ সিনেমার মতোই মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে উত্তর প্রদেশের বুন্দেলখন্ডে এক নারী বিয়ের আসর থেকে বরকে তুলে নিয়ে যান। দাবি, ওই বর অশোক যাদবের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত মে মাসের ঘটনায় আটক হয়ে ছিলেন ওই নারী। প্রেমিকের বিয়ে ভেঙে দিয়ে এখন তাঁর সঙ্গেই ঘর বেঁধেছেন ২৫ বছরের বর্ষা সাহু নামের দুর্ধর্ষ প্রেমিকা।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর অপহরণের ঘটনায় মামলা, আটক ও জামিনের ঝক্কি সামলে গত রোববার রাজ্যের হামিরপুরের একটি মন্দিরে বিয়ে করেন অশোক ও বর্ষা। বিয়েতে শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আট বছর ধরে অশোক ও বর্ষার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

বিয়ের দিন বর্ষা হলুদ শাড়ি পরে কনে সেজেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভীষণ আনন্দিত। এই দিনটির জন্য আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। প্রথমে বিয়ের আসর থেকে অশোককে অপহরণ করতে হয়েছে। পরে হামিরপুর জেলা কারাগার থেকে তাঁকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে হয়েছে।’

প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১৫ মে বিয়ের আসর থেকে অশোক অপহরণ হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা হয়। বুন্দেলখন্ডের ভবানী গ্রামে যে মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তাঁরাই ওই মামলা করেন। এ মামলায় হামিরপুর জেলা কারাগারে আটক থাকার পর গত শুক্রবার জামিনে মুক্তি পান অশোক। মুক্তির দিন কারাগারের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন প্রেমিকা বর্ষা। পরে সেখানেই তাঁরা ঘোষণা দেন, শিগগির বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাঁরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অশোক ও বর্ষার বিয়ের পুরো আয়োজন সম্পন্ন করে শিবসেনার স্থানীয় একটি ইউনিট। রাজ্যের শিবসেনা সভাপতি রতন ব্রহ্মচারী ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা একটি সংস্থা খুলতে যাচ্ছেন। প্রেমিকদের কাছে থেকে প্রতারিত হওয়া মেয়েদের সহায়তা দেবে ওই সংস্থা।

রতন ব্রহ্মচারী বলেন, ‘আমাদের সংস্থার নাম হবে “রিভলবার রানি”। এই সংস্থার প্রধান হবেন বর্ষা। প্রতারণা করা প্রেমিকদের সঙ্গে মেয়েদের আবার সম্পর্ক তৈরি করতে এই সংস্থা কাজ করবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের দিন অশোক ও বর্ষা রীতি অনুযায়ী শত শত মানুষের সামনে মালাবদল করেন ও সাত পাক ঘোরেন। অপহরণের পর অশোকের পরিবার বর্ষার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনলেও অশোকের জামিন নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বর্ষা নিজেই অশোকের জামিনের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে বর্ষার স্বজনেরা উপস্থিত থাকলেও অশোকের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

১৫ মে রাতে দামি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি নিয়ে বিয়ের আসরে ঢোকেন বর্ষা। তাঁর সঙ্গে দুজন যুবকও ছিলেন। বর অশোকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তিনি বলেন, ‘এই লোকটা আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু অন্য একজনকে বিয়ে করে সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমি এটা হতে দেব না।’ পরে অশোককে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান তিনি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর দুজনকেই পুলিশ আটক করে।

এ সময় বর্ষা পুলিশকে বলেছিলেন, ওই রাতে তিনি (বর) গাড়ির কাচে টুকটুক শব্দ করেন। এরপর দরজা খুললে নিজের ইচ্ছাতেই গাড়িতে ওঠেন। এই বিয়েতে তিনি রাজি ছিলেন না। ওই মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তুতও ছিলেন না। মেয়ের পরিবার জানত যে ছেলে অন্য একজনকে ভালোবাসেন। কিন্তু তাদের ভাষ্য, তাদের মেয়ে পরিস্থিতি সামলে নেবেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!