• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বুধবার শহীদ মিনারে মরদেহ : দাফন কুড়িগ্রামে


বিশেষ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬, ০৬:১০ পিএম
বুধবার শহীদ মিনারে মরদেহ : দাফন কুড়িগ্রামে

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আর নেই। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
 
সৈয়দ শামসুল হক গত ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে লন্ডনে যান। সেখানে পরীক্ষার পর তার ক্যানসার ধরা পড়ে। গত ১ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার পর তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
 
সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। 

জানা গেছে, সৈয়দ হকের মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে গুলশানে নিজ বাড়িতে নেয়া হবে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে নেয়া হবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়ে থাকে। ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান সৈয়দ শামসুল হক। এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ লেখক তিনি। 

১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’। পরে ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘নিষিদ্ধ লোবান’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘নীল দংশন’, ‘বারো দিনের জীবন’, ‘তুমি সেই তরবারী’, ‘কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন’, ‘নির্বাসিতা’র মতো বিখ্যাত উপন্যাস উপহার দিয়েছেন। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘একদা এক রাজ্যে’, ‘বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা’, ‘পরানের গহীন ভিতর’, ‘অপর পুরুষ’, ‘অগ্নি ও জলের কবিতা’। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’ সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!