• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেগম জিয়ার সাজার তার কৃতকর্মের ফল: তথ্যমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮, ০৯:৪২ এএম
বেগম জিয়ার সাজার তার কৃতকর্মের ফল: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: পঁচাত্তরের পর দেশে যে বিচারহীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারকে একপাল্লয় মাপার অপসংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল সেখান থেকে শেখ হাসিনা সরকার বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে শেখ হাসিনার সরকার  যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের কাঠগড়া দাঁড় করাচ্ছে। বেগম জিয়া ও তারেকের সাজা তাদের কৃতকর্মেরই ফল।

মন্ত্রী বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল হলে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বিচারের আগে গণমাধ্যমে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা বা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ যেমন ঠিক নয়, তেমনি বিচারে দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের প্রতি সহানুভূতি তৈরিও গণমাধ্যমের কাজ নয়। গণমাধ্যমকে অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে যাতে তাদের স্থান রাজনীতি ও ক্ষমতার বাইরেই হয়।

১৯৭৪ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশে যে বিচারহীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারকে একপাল্লয় মাপার অপসংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল, শেখ হাসিনার সরকার তা থেকে রেরিয়ে এসে যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের কাঠগড়া দাঁড় করাচ্ছে। বেগম জিয়া ও তারেকের সাজা তাদের কৃতকর্মেরই ফল।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, প্রেস কাউন্সিল, চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ তথ্য, গণমাধ্যম এবং দেশের সকল উন্নয়নের পথনির্দেশক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা তার অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। গণমাধ্যমকে এ অগ্রযাত্রায় সঙ্গী হতে হবে।

প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন। কেক কাটার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উদযাপনে অংশ নেন অতিথিবৃন্দ।

নবঘোষিত এ দিবস উপলক্ষে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!