• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বেতন পরিশোধের দাবি ও গার্মেন্টেসে বিক্ষোভ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৪, ২০১৭, ০৬:১৪ পিএম
বেতন পরিশোধের দাবি ও গার্মেন্টেসে বিক্ষোভ

ঢাকা: ঈদপূর্বে দেশের তৈরি পোশাক কর্মীদের বেতন, বোনাস ও উৎসব ভাতা শতভাগ কারখানা দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমই। শনিবার দুপুর ১২ টার সময়ে যখন কওরান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়, ঠিক তখনই বিজিএমইএ তালিকাভূক্ত একটি কারখানার কর্মীরা বকেয়া তিন মাসের বেতনের দাবিতে রাজধানীর কল্যাণপুরে সড়ক দখল করে বিক্ষোভ করে।

শনিবার (২৪ জুন) পোশাক কর্মীদের বেতন ও ভাতা পরিশোধের তথ্য জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিজিএমইএ। এসময় সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিজিএমইএ’র তালিকাভূক্ত পোশাক কারখানা হলো ৩ হাজার ১০০টি। গত মে মাস পর্যন্ত এসব কারখানায় শতভাগ বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। কর্মীরা তাদের পাওনা চলতি জুন মাসের ২০ দিনের বেতন দিয়েছে ৯৮ শতাংশ কারখানা। এ হিসাবে শতভাগ কারখানা তাদের কর্মীদের বেতন, ভাতা ও বোনাস দিয়েছে।

শনিবার পর্যন্ত ৮৫ ভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। বাকি কারখানাগুলো আজকের মধ্যে ছুটি দেবে। বিজিএমইএ সভাপতি যখন এই সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছিলেন ঠিক তখনই রাজধানীর কল্যাণপুরে বেতনের দাবিতে কয়েকশত কর্মী সড়ক অবরোধ করেন। বিজিএমইএ তালিকাভূক্ত পোশাক কারখানা মনড অ্যাপারেল লিমিটেড প্রায় আড়াইশ শ্রমিক বেলা দেড়টার দিকে কল্যাণপুর ওভারব্রিজের নিচে অবস্থান নিলে গাবতলীমুখী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা জানান, গত তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আজ নয়, কাল এভাবে করেই দিন পার করেছেন মালিক। গত তিন দিন ধরে কারখানায়ই আসেন নি তিনি। 

সর্বশেষ গত ২০ মে বলা হয়েছিল ৩০ মে তারিখে টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু সেদিনও দেয়নি। আজও যদি না পাই, তাহলে ঈদ করবো কিভাবে, এমন জিজ্ঞাসা সাংবাদিকদের কাছেও। পরে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে পোশাক কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দেন বিকেল ৩টার দিকে।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঈদের আগে বেতন ভাতা বিষয়ে সমস্যা হতে পারে এমন কিছু কারখানার তালিকা আমরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পেয়েছিলাম। বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ১ হাজার ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে ক্লোজ মনিটরিং এর আওতায় এনে সমস্যার ধরন বুঝে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বিজিএমইএ ঢাকা অফিসের মধ্যস্থতায় প্রায় ৩১টি কারখানার সমস্যা সমাধান করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। এই  মুহুর্তে আমাদের হাতে বেতন ভাতা পরিশোধ বিষয়ে সমাধান হয়নি এরকম একটি কারখানাও নেই।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বেতন ভাতাদি পায় সে লক্ষ্যে সরকার ও আমরা মিলে অগ্রিম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আওতায় ঢাকাকে ১৫টি জোনে ভাগ করে ১৫টি জোনভিত্তিক কমিটি গঠন করেছি। প্রতি বছরের মতো এবারো কেন্দ্রীয়ভাবে ক্রাইসিস কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। এর বাইরে সরকারের গঠিত আঞ্চলিক ক্রাইসিস কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাছির ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/তালেব

Wordbridge School
Link copied!