• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ


বেনাপোল প্রতিনিধি জুলাই ১৬, ২০১৮, ০৩:৫৩ পিএম
বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বেনাপোল : বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দর থেকে সকল মালামাল খালাস প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।

রোববার (১৫ জুলাই) বন্দরের অভ্যন্তরে কাস্টমস ওয়ে ব্রিজে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) স্থায়ী অবস্থান নেওয়ার প্রতিবাদে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। ফলে কোটি কোটি টাকার মালামাল বন্দরে আটকা পড়েছে এবং পচনশীল পণ্য নষ্ট হতে বসেছে।

খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় উৎকণ্ঠায় রয়েছে কাঁচামাল উৎপাদনকারী বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।

এছাড়া বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে আছে। মাছ,পান, পেঁয়াজ ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য ইতোমধ্যে নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৯ এর  কাস্টমস অ্যাক্ট ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী  কাস্টমস হাউসের আওতায় কাস্টমস ও বন্দর ব্যতীত অন্য কোনও সংস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বিশেষ করে সেকশন ১৯৮ অনুযায়ী কাস্টমস এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ অফিসারের মাধ্যমে পণ্যের ঘোষণা অনুযায়ী মালামাল পরীক্ষা ও শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। বাইরের অন্য কোনও সংস্থা হস্তক্ষেপ করলে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া ব্যহত হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।   

কাস্টমস আইন ২৩৪ এর সেকশন ১৫৮-১৭১-এ  বলা হয়েছে, ঘোষিত কাস্টমস বন্দর স্টেশন ও কাস্টমস হাউসের অভ্যন্তরে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী কোনও কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই বিজিবির অবস্থান নেওয়ার পর রোববার বিকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বন্দর ব্যবহারকারী ৭ টি সংগঠন কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বন্দর থেকে জরুরী ভিত্তিতে বিজিবি প্রত্যাহারের জন্য কাস্টমস কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

বেনাপোল সিএন্ডএফ  এজেন্টস  অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কাস্টমস আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। কাস্টমস ও বন্দরের অভ্যন্তরে অন্য কোনও সংস্থার হস্তক্ষেপ ব্যবসায়ীরা মেনে নেবে না। বন্দরের অভ্যন্তর থেকে বিজিবি প্রত্যাহার করা না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল আরিফুল হক জানান,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিজিবিকে কাস্টমস ওয়েইং স্কেলে তদারকি করার জন্য  বসানো হয়েছে। যারা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে বিষয়টি রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, বন্দরের অভ্যন্তরে কাস্টমস ওয়ে ব্রিজে বিজিবি অবস্থান নেওয়ায় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বেআইনিভাবে অন্য একটি সংস্থা কাস্টমস এর কর্মকাণ্ডে হস্থক্ষেপ করতে পারবে না বলে আইনে বলা আছে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!