• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বৈধ লাইসেন্সে অবৈধ অস্ত্রের কেনাবেচা!


সোনালী বিশেষ জুলাই ২৩, ২০১৭, ০৮:৫৬ পিএম
বৈধ লাইসেন্সে অবৈধ অস্ত্রের কেনাবেচা!

ঢাকা : অনুমোদিত অস্ত্রের দোকান থেকেও অবৈধভাবে বিদেশি অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। আবার বৈধ অস্ত্রের আড়ালেও অবৈধ অস্ত্রের চালান আমদানি করছে ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি পল্টনের ইমরান আর্মস কোম্পানির এক চালানে অবৈধভাবে আনা প্রায় ৪৭টি অস্ত্র জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর (সিআইআইডি)।

আমদানির পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় এসব অস্ত্রের গায়ের সিরিয়াল নম্বর তুলে ফেলে বিক্রি করা হয়। কখনও অস্ত্র ধরা পড়লে সিরিয়াল নম্বর দেখে আমদানি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিচয় যাতে জানা না যায়, সেজন্যই এ সতর্কতা। যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় এসব দোকানে অভিযান চালাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবার সীমান্তপথ দিয়ে আসা অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহের পাশাপাশি ভুয়া লাইসেন্স দিয়েও অস্ত্র বিকিকিনি চলছে।

দেশের ইতিহাসে বড় অস্ত্রের চালান: ২০১৪ সালে হবিগঞ্জের সাতছড়ি উদ্যানে, ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, তারপর খাগড়াছড়ি এবং ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেরপুরের দুর্গম পাহাড়েও একই রকম বড় অস্ত্রের ভা-ার পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের প্রকারভেদ একই রকম এবং এর প্রায় সবই এখনো ব্যবহারের উপযোগী।

এ পর্যন্ত পাওয়া অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়নকে সজ্জিত করা সম্ভব। আর যা এখনো পাওয়া যায়নি তা নিয়ে শঙ্কা তো রয়েই যায়। আসামের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জন্য আনা দশ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামে ধরা পড়ে। ওই অস্ত্রের চালানের সঙ্গে তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা জড়িত ছিলেন। আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে এক সাক্ষাৎকারে উলফাপ্রধান অরবিন্দ রাজখোয়ার বলেন, পাকিস্তানের উগ্রপন্থী একটি অংশ উলফাকে অস্ত্র সরবরাহ করত। আর সেসব অস্ত্র বাংলাদেশ হয়ে আসামে ঢুকত। রাজখোয়া বলেন, অস্ত্রের বড় একটি চালান ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ধরা পড়লেও অস্ত্র আনার ক্ষেত্রে তারা বেশির ভাগ সময়ই সফল হয়েছেন।

২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারের নয়াপাড়ার রোহিঙ্গা আনসার ক্যাম্প থেকে অস্ত্র লুট ও আনসার কমান্ডার আলী হোসেন নিহত হন। রোহিঙ্গা জঙ্গিদের সঙ্গে ওই হামলায় নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের নাগরিক ওমর ফারুক।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!