• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যস্ত সময় পার করছেন চাই শিল্পীরা


রাজবাড়ী প্রতিনিধি  জুলাই ২, ২০১৬, ০৬:৫০ পিএম
ব্যস্ত সময় পার করছেন চাই শিল্পীরা

বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নদীতে নতুন পানির সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আনাগোনা। প্রতিটি মাছের পেটেই রয়েছে এখন ডিম। মা মাছ শীকারে এখন ব্যাস্ত হয়ে পরেছে জেলেরা সেই সাথে ব্যাস্ত সময় পার করছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চাই,ঘুর্নি,ও দোয়ারি শিল্পীরা। মৎস্য বিভাগ যেন দেখে ও দেখছে না কিছুই। 

গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ফরিদা পারভীন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি তৈরি করেন চাই, ঘুর্নি,ও দোয়ারি। প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার স্বামীকে দিয়ে বাজারে পাঠিয়ে বিক্রি করেন তিনি। সপ্তাহে ৫ থেকে ছয় শত চাই, ঘুর্নি, বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে ছেলের পড়াশোনা আর সংসারের খরচ চলে তার।

উজানচর ইউনিয়নে ফরিদা পারভীনের মত আরও ২ থেকে আড়াই শত পরিবার রয়েছে এ শিল্পের সাথে জরিত। তারা জানিয়েছে এখন চাই,ঘুর্নি,ও দোয়ারি তৈরি করতে যে সরঞ্জাম প্রয়োজন বাশ  সুতো কিনতে হয় মোটা অংকের টাকা দিয়ে। আগের মত লাভ নেই এ শিল্পে তাই অনেকে অন্য পেশায় ঝুঁকছে।

জেলেরা জানান- চাই, ঘুর্নি দিয়ে পদ্মার নতুন পানিতে তারা মাছ শিকার করেন এতে দেশীয় প্রজাতির চিংড়ি, পুটি, টেংরা, পাবদাসহ নানা ধরনের মাছ তারা পেয়ে থাকেন এ মাছ বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন।

স্থানীয়রা জানায়, এই মা মাছ যদি না ধরা হয় তবে তিন মাস পর নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে যা রাজবাড়ীর মাছের চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতিটি মাছের পেটেই ডিম থাকে এই মা মাছ না ধরার জন্য জেলেদের বিভিন্ন প্রকার সচেতননতা মূলক প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাঝে মধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। 

সেনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!