• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘ব্যাংক খাত ধ্বংসে নতুন নিয়ম করেছে সরকার’


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১০, ২০১৮, ০৯:০৯ পিএম
‘ব্যাংক খাত ধ্বংসে নতুন নিয়ম করেছে সরকার’

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে সরকারের মদতে। কারণ এফবিআই বলেছে, ব্যাংকের অর্থ চুরি করা লোকজন ব্যাংকের ভেতরেই অবস্থান করছে।’ এ সময় তিনি দেশের সব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়ানোর দাবি জানান। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আর্থিক খাতের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।

বৃহস্পতিবার (১০ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ও একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার নিজেদের লোকদের সরকারি ব্যাংকগুলোতে বড় পদে বসিয়ে লুটপাট করছে। এরা ইতোমধ্যে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ দিয়ে দেশের ব্যাংক খাতকে দেউলিয়া করে দিয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংককে একটি বিশেষ গ্রুপের হাতে দিয়ে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে ইসলামী ব্যাংকেও তারল্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমানতকারীরা তাদের টাকা পাচ্ছেন না ঠিকভাবে। এমনকি ব্যাংকের সরকার নিয়োগকৃত চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু ব্যাংক খাত লোপাট নয়, বড় বড় মেগা প্রজেক্ট দুর্নীতি, শেয়ারবাজার দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আর্থিক খাতের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এদের বিচার জনতার আদালতে অবশ্যই হবে।’

ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করতে সরকার এখন নতুন নিয়ম করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আগে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক পদে এক পরিবারের দুজন করে তিন মেয়াদে ছয় বছর থাকতে পারত। এখন সরকার সেটিকে পরিবর্তন করে এক পরিবারের চারজনকে তিন মেয়াদে ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে- যাতে পুকুরচুরি করতে পারে।

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাংকের প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা লোপাট হলেও অর্থমন্ত্রী বলছেন এটি বড় কিছু নয়। আমাদের বুঝে আসে না আর কত টাকা লোপাট হলে আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে বড় কিছু মনে হবে।

তিনি বলেন, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু রাজনৈতিক বিবেচনায় এমডি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি শুরু হয়। তিনি অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে ব্যাংককে ধ্বংস করে দিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মইন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!