• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ব্যাংকিং সেক্টরের লুটপাট রোধে পদক্ষেপ’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩০, ২০১৬, ০৫:৩৮ পিএম
‘ব্যাংকিং সেক্টরের লুটপাট রোধে পদক্ষেপ’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ব্যাংকিং সেক্টরে যে লুটপাট হচ্ছে তা নিয়ে খুবই চিন্তিত এবং এটা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে বরাদ্দকৃত অর্থের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ব্যাংক হচ্ছে লুটপাটের আঁধার। লুটপাট হবে আর আমরা টাকা দিয়ে যাবো এটা হবে না।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেরা টাকা জোগাড় করে দেন না। এখন ছিনতাইকারীরা রাস্তায় ছিনতাই করে না। সমস্ত ছিনতাই হয় এখন ব্যাংকে।

সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, টাকা দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।

স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আগে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনা দরকার। যে টাকা লুটপাট হয়েছে, পাচার হয়েছে। সেই টাকা আনার জন্য জাতিকে আশ্বস্থ করবেন কি না?

সংসদ সদস্যর এমন সমালোচনার উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে সব ছাঁটাই প্রস্তাব এসেছে, প্রস্তাবকরা সবাই ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে সেই সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ এবং কনসার্ন এক্সপ্রেস করেছেন। সে জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ব্যাংক সেক্টরে যে লুটপাট হচ্ছে এটা নিয়ে আমিও খুবই চিন্তিত এবং এটা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদেক্ষপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা টাকার দায়িত্ব গ্রহণ করি। কারণ এই টাকাটা গরীব জনগণেরও হতে পারে। আবার ধনী জনগণের হতেও পারে। এমন হলে তাদের অসুবিধা হয়। তাদের অসুবিধা রাষ্ট্র করতে পারে না। এজন্য রাষ্ট্র এই দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং করছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা তদস্ত চালাচ্ছি এবং তদন্তের পরে মামলাও হচ্ছে। দুদকে বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা এখনো হয়নি। এই রিপোর্টটা দুদকের কাছে আছে। আস্তে আস্তে মামলা হচ্ছে। যেসব লোকের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে এবং তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়েছে তাদের সবাইকেই দুদক মামলায় সোপর্দ করবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!