• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা চুরি: তিনজন খালাস


শেরপুর প্রতিনিধি আগস্ট ১১, ২০১৬, ০৯:০০ পিএম
ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা চুরি: তিনজন খালাস

শেরপুরে আলোচিত জনতা ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা চুরির মামলায় আটককৃত তিন নিরাপত্তাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার এ রায় দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি ছিল। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলেও মনে করেন আদালত।

খালাস পাওয়া তিন নিরাপত্তাকর্মী হলো- মো. সাহেব আলী (৫৭), মো. সুলতান আহম্মেদ (৬১) ও মজিবর রহমান। এছাড়া বিচার চলাকালে মামলার আরেক আসামি সাবেক নিরাপত্তা রক্ষী শেখ শওকত আলী মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। 

রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র হোড় বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলার এজাহারে উল্লিখিত চুরি যাওয়া এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আসলে ব্যাংকের কর্মকর্তারাই যোগসাজশ করে আগেই সরিয়ে ফেলেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারহানা পারভীন বলেন, ব্যাংকের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ১৭ মার্চ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে কোনো এক সময় শেরপুর জেলা শহরের মুন্সিবাজার (শহীদ বুলবুল সড়ক) এলাকায় অবস্থিত জনতা ব্যাংক, শেরপুর শাখার ভল্ট ভেঙে কে বা কারা এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা চুরি করে নেন। ১৭ মার্চ শনিবার রাত নয়টার দিকে ব্যাংকের তৎকালীন দ্বিতীয় কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের নিকট থেকে মুঠোফোনে ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক সিরাজউদদৌলা জানতে পারেন যে, ব্যাংকের ভল্টের তালা ভাঙা। এ সংবাদ পেয়ে ব্যবস্থাপক সিরাজউদদৌলা ও ব্যাংকের জামালপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ওই দিন রাতেই ব্যাংক কার্যালয়ে আসেন। এ সময় শেরপুর সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে আসেন। ব্যাংক ও পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যাংক কার্যালয়ে এসে ব্যাংকের ভল্টের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান এবং ভল্টের ভেতরে ব্যাংকের সাবেক নিরাপত্তারক্ষী মজিবর রহমানের ব্যাংকের পোশাক পাওয়া যায়। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাংকের ভল্টে টাকা গুনে এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা কম পাওয়া যায়। কিন্তু ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংক বন্ধ করার সময় ব্যাংকের ভল্টে দুই কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬২০ টাকা রক্ষিত ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক সিরাজউদদৌলা খান ১৮ মার্চ খালাসপ্রাপ্ত তিন নিরাপত্তারক্ষীসহ চারজনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর দণ্ডবিধির ৩৮১ ধারায় আটককৃত চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!