• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ব্যাগ-আইডির নামে ১৩ কোটি টাকা হাতিয়েছে হাব’


বিশেষ প্রতিনিধি আগস্ট ২১, ২০১৬, ০৫:০৩ পিএম
‘ব্যাগ-আইডির নামে ১৩ কোটি টাকা হাতিয়েছে হাব’

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এবং মহাসচিবের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে হজ ওমরাহ এজেন্সিস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

রোববার (২১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলেনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে হজ ওমরাহ এজেন্সিস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল নাসের এ অভিযোগ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাবের সাবেক সভাপতি হজ ওমরাহ এজেন্সিস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এইচ.এম. তাজুল ইসলাম, মো. নুরুল হকসহ অনেকে।

আবদুল্লাহ আল নাসের বলেন, হজ যাত্রীদের জন্য নিম্নমানের ট্রলি দিয়ে ৯ কোটি ৬২ লাখ ৫২ হাজার টাকা এবং গাইড প্রতি আইডি কার্ড দেয়ার কথা বলে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হাবের সভাপতি ইব্রাহিম বাহার এবং মহাসচিব শেখ মো. আবদুল্লাহ। এছাড়া ৯৬ হাজার ২৫২ জন হজযাত্রী থেকে বেআইনিভাবে ২০০ টাকা করে অতিরিক্ত ১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।

হাবের সভাপতি ও মহাসচিব হজ টিকেট বিক্রির সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ আল নাসের বলেন, শেষ ফ্লাইটের প্রতি টিকেটের জন্য অতিরিক্ত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেবেন তারা দুজন। এখন পর্যন্ত ব্যাগ ও আইডি কার্ড দেয়ার নামে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। টিকেট সিন্ডিকেটের মাধ্যেমে আরও ৭৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন।

আবদুল্লাহ আল নাসের আরও জানান, মানবপাচারকারীদের কারণে ২০১৫ সালের ২২ মার্চ থেকে বাংলাদেশের ওমরাহ ভিসা বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ১০৪ এজেন্সির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে হাবের সভাপতি এবং মহাসচিবের এজেন্সির নাম পাওয়া গেছে।

ওমরাহর নামে মানবপাচারকারী নেতাদের পদত্যাগের দাবি এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি প্রসাশক নিয়োগের মাধ্যমে হাবের নতুন কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান আব্দুল্লাহ আল নাসের।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!