• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জনদুর্ভোগ চরমে


ঝালকাঠি প্রতিনিধি মার্চ ৭, ২০১৭, ০৫:৪০ পিএম
ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জনদুর্ভোগ চরমে

ঝালকাঠি: জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচঁরীরামপুর ইউনিয়নের বানাই মহিষকান্দি বাকের খালের ওপর লোহার ব্রিজটি ভেঙে চার বছর ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ব্রিজটি নদীতে ভেঙে পড়ে তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া বানাই-পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া-মঠবাড়ীয়ার সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কাঠালিয়া তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) ডিগ্রি কলেজ, বানাই স্কুল এন্ড কলেজ, বানাই বালিকা বিদ্যালয়সহ ১০-১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২ লাখ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলার বানাই গ্রামের মহারাজ তালুকদার জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় উপজেলা সদরের সাথে বানাইসহ এ এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্কুল শিক্ষক বজলুর রশীদ খান খোকন বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে ভান্ডারিয়া হয়ে কাঠালিয়ায় শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। এতে সময় অর্থ দুটিই অপচয় হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রিজটি ভেঙে সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে না যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে নৌ যোগাযোগও অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। নদীতে নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজী জানান, বিগত ৫-৬ বছর পূর্বে একটি কাঠ বোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজের তিনটি খুটি ভেঙে যায়। তখন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটিতে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাঠ বোঝাই একটি ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজটি বিধ্বস্ত হলে বাঁশের খুটি দিয়ে কোন রকম লোকজন যাতায়াত করত। বিষয়টি এলজিইডি ও সড়ক জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের সাথে বহুবার যোগাযোগ করা হলেও কোন কাজ হয়নি। কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন জানান, সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ায় পুলিশের টহল গাড়ি নিয়ে বানাই পশ্চিম চেঁচরী, ভায়েলাবুনিয়া কালিশংকর এলাকায় যেতে না পারায় আইন-শৃংখলা রক্ষা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কাঁঠালিয়া এলজিইডির প্রকৌশলী অমল চন্দ্র রায় জানান, ১৯৯২ সালে এলজিইডি এ সেতুটি নির্মাণ করে ১৯৯৮ সালে এ রাস্তাটি সওজের আওতায় চলে যাওয়ায় এ ব্রিজের দেখভাল করার দায়িত্ব এখন তাদের।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম হামিদুর রহমান বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের প্রাক্কলন এবং ডিজাইন চূড়ান্ত করে গত অর্থবছরে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের জন্য সাংসদ বজলুল হক হারুন ডিও লেটার দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই টেন্ডার আহবান করে দ্রুত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!