• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিজিতকে ‘ফার্স্টলেডি’ হিসেবে চায় না ফ্রান্সের জনগণ!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ৯, ২০১৭, ০৪:০৩ পিএম
ব্রিজিতকে ‘ফার্স্টলেডি’ হিসেবে চায় না ফ্রান্সের জনগণ!

ঢাকা: প্রত্যেক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের স্ত্রীকে ‘ফার্স্টলেডির’ মর্যাদা দেয়া হয়। এই মর্যাদার কারণে তাকে কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিতকে এই সুযোগ দিতে চায় না ফ্রান্সের জনগণ।

অবশ্য ফ্রন্সে ফার্স্টলেডির পদটি আগেও ছিল না। তবে এবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফার্স্টলেডির সিস্টেমটি প্রচলন করতে চেয়েছিলেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তার স্ত্রী ব্রিজিতকে ‘ফার্স্টলেডির’ আনুষ্ঠানিক পদ দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।

তরুণ ম্যাক্রোঁ তার সাবেক শিক্ষকা বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে সেই ১৮ বছর বয়সেই প্রেমে পড়েন

পরে এ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন ম্যাক্রোঁ। ব্রিজিতকে আনুষ্ঠানিক ফার্স্টলেডি পদ দেয়ার বিপক্ষে দুই লাখেরও বেশি মানুষ আবেদন করেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ‘চেঞ্জ ডট অর্গ’ নামে একটি সংগঠন তাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন রীতিমত পিটিশন শুরু করে।
 
সেখানে দাবি জানানো হয়, প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে ফার্স্টলেডির ভূমিকা পালনের ব্যয়ভার যেন জনগণের তহবিল থেকে বহন করা না হয়। চেঞ্জ ডট অর্গের ওই পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, ফ্রান্সের সংবিধানে প্রেসিডেন্ট পত্নীর জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে দুই থেকে তিনজন সহযোগী, দু’জন সহকারী এবং দু’জন নিরাপত্তা এজেন্ট রাখার বিধান রয়েছে। ব্রিজিতকে সে সুবিধা ভোগ করছেন এবং এসবই যথেষ্ট।

সব মিলিয়ে চাপের মুখে ‘ফার্স্টলেডির’ আনুষ্ঠানিক পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে দাঁড়ালেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আর এতেই কাপল পুড়লো ফাস্টলেডির স্বপ্নে বিভোর ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর। সূত্র: বিবিসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!