• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ


আদালত প্রতিবেদক মে ২৮, ২০১৭, ১২:২৭ পিএম
ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ঢাকা: ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় দু’জনকে ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে  হাইকোর্টের পুর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার (২৮ মে) সকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইডে ১৬৩ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

রায়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষর করেছেন।

এ ছাড়া, নিম্ন আদালতের দেয়া তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অপর একজনকে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া রায়ও বহাল রেখেছেন আদালত।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে রাজধানীর পল্লবীতে তার বাসার সামনে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিনের করা মামলায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ রায়ের পর মামলার নথিপত্র ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আসে। পরে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিতায় ওঠে। গত ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। গত ৯ জানুয়ারি রাজীব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

গত ২৭ মার্চ এই মামলার আপিল ও ডেথরেফারেন্সের রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!