• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বড়হাটের আস্তানায় ৩ জঙ্গির মরদেহ


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি এপ্রিল ১, ২০১৭, ১২:১৮ পিএম
বড়হাটের আস্তানায় ৩ জঙ্গির মরদেহ

মৌলভীবাজার: জেলার বড়হাটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযান শেষে আস্তানার ভেতরে এক নারীসহ তিন জঙ্গির মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহতদের একজন সিলেট চেকপোস্টে হামলার নেতৃত্ব দিয়ে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো। জঙ্গিদের জীবিত ধরার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ জন্য আমরা তাদের বারবার আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা সারেন্ডার না করায় উল্টো আমাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড চার্জ করে করেছে। সোয়াট সদস্যরা তাদের কাছাকাছি যেতে চেষ্টা করতেই ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। গতকাল সোয়াট সদস্যদের হামলার জন্য দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ করেছে। আপনারা সবাই সেই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অভিযান শুরু করে সোয়াট। এর আগে গতকাল শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় আলোকস্বল্পতার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, সাড়ে নয়টার দিকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান শুরু করেছে সোয়াট। সঙ্গে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।

ঘটনাস্থলে সোয়াট রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল।

বড়হাট এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ নামের এই অভিযানটি সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে আজকের মতো অভিযান শেষ করার কথা জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু হবে। অভিযান স্থগিত করার ঘণ্টা খানেকের মধ্য আবার ওই আস্তানা থেকে রাত ৮টার দিকে প্রথমে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়।

এরপর বিস্ফোরণের শব্দ এবং একটানা এক মিনিট গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর রাত সোয়া ৮টার দিকে বৃষ্টি নামে। এর কয়েক মিনিট পরে ফের মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা গেছে।

মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা এই বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা বলে সন্দেহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেটি শনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় সোয়াটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। অভিযানে পুলিশের কনস্টেবল কায়সর আহত হন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরিতে দক্ষ একজন ওই বাড়িতে আছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!