• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি, আটক ১


শেকৃবি প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৮:৫৯ পিএম
ভর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি, আটক ১

পুলিশের হাতে আটক হাছিনা বেগম

ঢাকা: রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০১৬-১৭ সেশনে প্রথম বর্ষে এক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে এক নারী।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ও ডেপুটিস্পিকারসহ মোট ৫ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত সুপারিশ পেশ আবেদনপত্রের সঙ্গে নারীর কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত নারীকে আটক করে শেরে বাংলা নগর থানায় সোপর্দ করে। পরবর্তীতে শেকৃবি রেজিষ্টার মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শেকৃবি প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর ১২টায় হাছিনা বেগম (৬০) নামে এক নারী প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডিও লেটার নিয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কামালউদ্দিনের কক্ষে যায়। প্রথমে তিনি গনভবনের বাবুর্চি বলে পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডিও লেটার এবং ডেপুটি স্পিকার, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব শফিকুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মনজিলা ফারুকের স্বাক্ষর সম্বলিত সুপারিশ কাগজ ভিসির কাছে দেয়।

সুপারিশ পত্রের ভাষ্য মতে, বিশেষ কোটায় ফাহিম জাহান দৃষ্টি নামে এক শিক্ষার্থীর ভর্তির সুব্যবস্থা জন্য জোর সুপারিশ করছি। এতে উল্লেখিত শিক্ষার্থীকে অসুস্থ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্যের কাছে পেশ করা নারীর সমস্ত কাগজের স্বাক্ষরসহ কথাবর্তা অসংগ্ন মনে হওয়ায় শেকৃবি প্রশাসন আটক করে শেরে বাংলা নগর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

আটকের পর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শেকৃবি ভিসি বলেন, আটক নারী এরআগেও আমার নিকট ৩/৪ বার এসে ফাহিম জাহান দৃষ্টি নামে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর ভর্তির তদবির নিয়ে। তাতে আমি কোন কর্নপাত না করলে রোববার আমার নিকট প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডিও লেটার নিয়ে হাজির হয়। এতে ঘটনাটি আমার কাছে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যায়, এটি একটি ভুয়া আবেদন। কেননা প্রধানমন্ত্রীর কোন ডিও লেটার কোন উপাচার্যের কাছে আসতে পারে না। এছাড়াও আবেদনপত্রে নানা ধরনের ভুল ছিল।

তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরটিও ছিল আমার কাছে অস্পষ্ট। অন্যদিকে আটক হাছিনা বেগম (৬০) নিজেকে গণভবনের বাবুর্চি হিসেবে পরিচয় দেন। এসময় গণভবনে প্রবেশের জন্য একটি পরিচয় পত্র দেখান। তখন তিনি আরো বলেন, মনজিলা ফারুকও শেখর আমাকে এখানে পাঠাইছে।

অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আটক হাছিনা বেগমের আইডি কার্ড ও তার সমস্ত কাগজপত্র সম্পূর্ন ভুয়া। তিনি গনভবনের বাবুর্চিও নন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!