• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভাইয়ের দা-কোপে ভাই খুন, ভাতিজি আহত


কক্সবাজার (ঈদগাঁও) প্রতিনিধি আগস্ট ১২, ২০১৭, ০৯:৫৩ এএম
ভাইয়ের দা-কোপে ভাই খুন, ভাতিজি আহত

কক্সবাজার: জেলা সদরের ভারুয়াখালীর রমিজ আহমদ নামক পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি সহোদর ও ভাতিজাদের হাতে খুন হয়েছেন। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে রমিজ আহমদের মেয়ে রামু ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সেলিনা আক্তার মুন্নি। আহত মুন্নিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রামুর রশিদ নগর ইউনিয়নের উল্টাখালী মোরাপাড়া ঘটনাটি ঘটে। সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাতে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি। 

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জায়গা জামির বিরোধ থেকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী জানিয়েছে। নিহতের ভাতিজা মোহাম্মদ রশিদ জানান, রমিজ আহমদ সকালে তার চাষাবাদের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় আপন ছোট ভাই ছব্বির আহমদ, তার ছেলে রাশেদুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম (তাজমহল), বেদার মিয়া, ইউছুফ মিয়া, নেজাম উদ্দীন, দিদার মিয়া ‘জমিতে কেন কাজ করছ?’ প্রশ্ন করে অতর্কিতভাবে ছুকাঘাত করে। এতে রমিজ উদ্দিন মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাজুল ইসলাম (তাজমহল) চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের যুবদলের পূর্ব শাখার সভাপতি। তার নেতৃত্বে খুনের ঘটনাটি ঘটে। সূত্রে জানা গেছে, আপন সহোদর ছব্বির আহমদ দীর্ঘদিন ধরে রমিজ আহমদের বসতভিটা ও জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। এসব বিষয়ে স্থানীয় শালিস ও আদালতের রায় নিহতের পক্ষে রয়েছে। এরপরও থেমে থাকেনি ছব্বির আহমদের ঝগড়াটেমূলক আচরণ। অব্যাহত রাখে হুমকি ধমকী। অবশেষে নিজ ছেলে সন্তানদের নিয়ে নির্মম হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়। 

এ সময় বাবাকে প্রকাশ্যে কোপাচ্ছে দেখে সেলিনা আক্তার মুন্নি ঝাপিয়ে পড়লে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। নিহতের ছোট ভাই ফরিদুল আলম জানান, বসতবাড়ি দখলের জের ধরে ভাই রমিজ আহমদকে প্রকাশ্যে দিন-দুপুর কুপিয়ে হত্যা করেছে। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, ঘটনাটি ঘটেছে রামু থানাধীন রশিদ নগর ইউনিয়ন এলাকায়। তবে নিহত ও হামলাকারীরা কক্সবাজার সদর থানার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের। রামু থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। রামু থানার ওসি লিয়াকত আলী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা পক্রিয়া চলছে বলে জানান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!