• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাঙল লেখক-পাঠক মিলনমেলা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮, ১০:৫৩ পিএম
ভাঙল লেখক-পাঠক মিলনমেলা

ঢাকা : লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মাসব্যাপী মিলনকেন্দ্র ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ ভাঙল। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা একাডেমি। সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে এ মেলার আয়োজন হয়, যা ছিল একটি রেকর্ড।

একুশে গ্রন্থমেলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮০০ ইউনিট ও ২৩টি প্যাভিলিয়ন নিয়ে এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর ছিল ৬৬৭টি ইউনিট ও ১৩টি প্যাভিলিয়ন।
মাস শেষে দেখা যায়, এবারের মেলা সর্বোচ্চ সংখ্যক নতুন বই প্রকাশের রেকর্ডও গড়েছে। এ বছর সাড়ে ৪ হাজার ৫৯১টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর নতুন বই প্রকাশের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৪৬টি।

তবে এ বছর বেচাকেনায় অতৃপ্তি ছিল বেশিরভাগ প্রকাশকের। অতৃপ্তি ছিল স্টল বিন্যাসেও। স্টল বিন্যাস সুষম হলে ছোট-বড় সব প্রকাশকই ব্যবসায়িকভাবে লাভের মুখ দেখার সুযোগ পেতেন বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, স্টল বিন্যাস নিয়ে এমন অভিযোগ প্রতিবছরই থাকে। বিষয়টা বাংলা একাডেমির সুরাহা করা উচিত।

স্টল বিন্যাসে অসন্তুষ্টি কিংবা বেচাকেনায় অতৃপ্তি সত্ত্বেও বই বিক্রিরও নতুন একটা রেকর্ড গড়েছে এবারের গ্রন্থমেলা। বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যে, এ বছর ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

গতকাল মেলার শেষদিনে প্রচুর লোকসমাগম দেখা গেছে। পাঠক-ক্রেতারা প্রয়োজনীয় বইটি এদিন কিনে নিয়েছেন। পাঠকদের কেনা বইয়ে অটোগ্রাফ দেন লেখকরা।
 
মেলার সমাপনী আয়োজনে পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘গ্রন্থমেলা সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি। বিচ্ছিন্ন কিছু বিষয় ছাড়া মেলার সার্বিক আয়োজনে আমরা সন্তুষ্ট।’

পাশাপাশি কিছু সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, এসব সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে মেলাকে আরো সাফল্যময় করে তোলার চেষ্টা থাকবে বাংলা একাডেমির।

সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চারটি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘প্রথমা প্রকাশন’কে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০১৮’, ২০১৭ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য অলকানন্দা প্যাটেল রচিত ‘পৃথিবীর পথে হেঁটে’ গ্রন্থের জন্য ‘বেঙ্গল পাবলিকেশন্স’, সুফি মুস্তাফিজুর রহমান রচিত ‘বাংলাদেশের প্রত্বতাত্ত্বিক উত্তরাধিকার’ গ্রন্থের জন্য ‘জার্নিম্যান বুক্স’, মঈন আহমেদ সম্পাদিত ‘মিনি বিশ্বকোষ পাখি’ গ্রন্থের জন্য ‘সময় প্রকাশন’কে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি’ পুরস্কার ২০১৮, ২০১৭ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘চন্দ্রাবতী একাডেমি’কে ‘রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০১৮’ এবং ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘কথাপ্রকাশ’কে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৮’ প্রদান করা হয়।

এদিকে গতকাল শেষ দিনেও গ্রন্থমেলায় নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ২৫৫টি। বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে, এর মধ্যে কবিতার ৭৭টি, গল্প ৪৫টি, উপন্যাস ৩১টি ও অন্যান্য বিষয়ক বই ১০২টি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!