• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাত কাপড়েই খেটে যাচ্ছেন আজীবন!


ফেসবুক থেকে ডেস্ক মার্চ ৮, ২০১৭, ০৭:০৬ পিএম
ভাত কাপড়েই খেটে যাচ্ছেন আজীবন!

রান্না করছেন গ্রামের এক মা- ফাইল ছবি

ঢাকা: একজন নারী কারও মা, কারও স্ত্রী/প্রেমিকা, কারও বোন, কারও ভাগ্নি/ভাতিজি। তাই নারীদের সম্মান করে নিজের মাকে সম্মানিত করুন। কারণ আপনার মাও একজন নারী।

নারী দিবসে পৃথিবীর সকল মাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে এমনটাই দাবি করেন বাংলাদেশ পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট ফাহাদ মোহাম্মদ।

মা তার অপ্রাপ্তির জন্য কখনই অভিযোগ করেন না এমন দাবি করে তিনি তার ফেসবুকে একটি র্স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘পরিবারের মায়েরা কখনই অভিযোগ অনুযোগ করেন না। সামান্য কিছুতেই তারা সন্তুষ্ট। দুই বেলা খাবার আর বছরে কিছু বস্ত্র আর কিছুটা সম্মান পেলেই তিনি খুশি। ভাত কাপড়েই তিনি খেটে যাচ্ছেন আজীবন’।

সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো:

‘আমি এমন একজন মানুষকে চিনি যাকে একদিনের জন্যও ছুটি নিতে দেখিনি। আমার বুঝতে শিখারও অনেক আগ থেকেই তার পাদচারণা শুরু। তিনি কাজ করে গেছেন কোনো রকমের পারিশ্রমিক ছাড়া। যা পেয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থেকেছেন। কখনো দেখি নি একটা আবদার নিয়ে কাউকে কিছু বলতে। কিংবা নিজের ইচ্ছেমত কিছু কিনতে। অসুস্থ শরীর নিয়েও পরিবারের সদস্যদের জন্য কাজ করেছেন। নিজে না খেয়ে সন্তানদের খাইয়েছেন। নিজে ভাল কাপড় না পরে সন্তাদের পরিয়েছেন।

পুলিশ সার্জেন্ট ফাহাদ মোহাম্মদ

তিনি যদি তার পরিশ্রমের সামান্য পারিশ্রমিক চাইতেন তাহলে জীবনে উপার্জিত সকল সম্পদ দিলেও শোধ হবে না। তিনি পরিবারের একমাত্র ব্যক্তি যিনি পরিবারের প্রতিটা সদস্যের ভালমন্দ দেখাশোনা করেন। কিন্তু তার অপ্রাপ্তির জন্য কখনই অভিযোগ করেননি। পরিবারের মায়েরা কখনই অভিযোগ অনুযোগ করেন না। সামান্য কিছুতেই তারা সন্তুষ্ট। দুই বেলা খাবার আর বছরে কিছু বস্ত্র আর কিছুটা সম্মান পেলেই তিনি খুশি। ভাত কাপড়েই তিনি খেটে যাচ্ছেন আজীবন।

পরিবারের প্রতিটা সদস্যকে তিনি বটগাছের মতো ছায়া দেন, তার মমতাময়ী হাসি দিয়ে সব কিছুকেই মেনে নেন। স্বামী, সন্তান, আত্মীয়স্বজন সবাইকে তিনি সেবা করে যান বিনা পারিশ্রমিকে। আসলেই কি তার পারিশ্রমিক দেওয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে? আমাদের জীবন দিলেও মায়ের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা সম্ভব না।

প্রতিটা পরিবারেই একজন পারিশ্রমিক বিহীন কর্মী আছেন, যিনি তার জীবন যৌবন সব কিছুই পরিবারের পিছনে ব্যয় করেছেন। নিজের সখ আহ্লাদ সব সন্তানের জন্য বিসর্জন দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ হয়ত আমরা কখনই সেভাবে অবলোকন করি না। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তারা কেবল অবহেলার পাত্র হিসেবেই থেকে যান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কখনই গৃহস্থালির কাজকে সেভাবে মূল্যায়ন করে না।

একজন নারী কারও মা, কারও স্ত্রী/প্রেমিকা, কারও বোন, কারও ভাগ্নি/ভাতিজি। তাই নারীদের সম্মান দিয়ে নিজের মাকে সম্মানিত করুন। কারণ আপনার মাও একজন নারী। প্রতিটা নারীই কারও না কারো মা কিংবা মা হবে।

পৃথিবীর সকল মাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা। প্রতিটি দিনই হোক নারী দিবস’।

লেখক: ফাহাদ মোহাম্মদ, পুলিশ সার্জেন্ট।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!