• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধটা বেঁধেই গেল!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ২৪, ২০১৭, ০৩:২৬ পিএম
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধটা বেঁধেই গেল!

ঢাকা : ভরতীয় জওয়ানের শিরশ্ছেদের জবাব দিতে পাকিস্তানের পাক বাংকার উড়িয়ে দিল ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনী। এ হামলার প্রেক্ষিতে হয়তো ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধটা বেঁধেই গেল! ভারতীয় প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান নাকি যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দেশটির বিমানবাহিনীর তৎ‌পরতা দেখে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। 

দিই দেশের সীমান্ত সিয়াচেনের কাছে উড়তে দেখা গেছে পাক যুদ্ধ বিমান। যদিও তারা আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি বলে দাবি ভারতীয় বিমানবাহিনীর। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম অবশ্য দাবি করেছে, যুদ্ধের মহড়া দিতেই সিয়াচেনের কাছে উড়েছে পাক যুদ্ধবিমান। দেশটির বিমানবাহিনী প্রধান সোহেল আমানের তত্ত্বাবধানেই এই যুদ্ধের মহড়া চলছে। বুধবার তিনি স্কার্দুর বিমানবাহিনী ঘাঁটিও ঘুরে দেখেন বলেও দাবি। তার সঙ্গে ছিলেন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ সময় বাহিনীর পাইলট ও টেকনিক্যাল স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন আমান। 

জানা গেছে, সব পাক বিমান ঘাঁটিকে সক্রিয় করে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার নৌশেরা সেক্টরে ভারতীয় গোলাবর্ষণে পাক বাংকার গুঁড়িয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধের তৎ‌পরতা শুরু করে পাকিস্তান।

যদিও ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি পাকিস্তান। তবে, বিমানবাহিনী প্রধান বিএস ধানোয়া যেকোনো পরিস্থিতির জন্য বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলেছেন। হামলার আশঙ্কায় সতর্ক করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিএসএফকেও।

গত ১ মে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢুকে দুই জওয়ানের মাথা কেটে নিয়ে যায়। তখনই দাবি উঠেছিল, বদলা চাই। সে প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনী জানাল, জম্মু-কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাকিস্তানের চৌকি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উড়িয়ে দেয়া হয়েছে পাক সেনার একগুচ্ছ বাংকার। তাদের দাবি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে ১০ থেকে ১২ পাক সেনাসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন নিহত হয়েছে।

পাক চৌকি উড়িয়ে দেয়ার প্রমাণ হিসেবে আজ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ভারতের সেনাবাহিনী। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গোলার আঘাতে একের পর এক বাংকার ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। ৯ ও ১০ মে এই হামলা হয়েছে বলে সেনা সূত্রের দাবি। আগামী ২৬ মে মোদি সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। তার ঠিক আগে সেনার ভিডিও প্রকাশ্যে এনে দেশজুড়ে ফের জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার। কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলোও এ জন্য সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। 

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর এই অভিযানে সরকার পুরোপুরি জওয়ানদের সঙ্গে রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখার জন্য এ ধরনের সেনা অভিযান দরকার।’

সেনা অফিসাররা অবশ্য স্পষ্ট করছেন, এটি মোটেই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নয়। যেমনটা গত বছর উরির হামলার পর হয়েছিল। তখন সেনা কমান্ডোরা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের এলাকায় ঢুকে জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল। এবার অবশ্য গুলি ছোড়া হয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখার এপার থেকেই। পাকিস্তানের সেনা চৌকি, কংক্রিটের বাংকার গুঁড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হয় রকেট লঞ্চার, ট্যাংকা-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, অটোমেটিক গ্রেনেড, রিকয়েললেস গান। 

মেজর জেনারেল নারুলা বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করতে পাক সেনা আমাদের জওয়ানদের দিকে গুলি ছুঁড়ে তাদের ব্যস্ত রাখে। সময়ে সময়ে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গ্রামগুলোকে নিশানা করতেও তারা দ্বিধা করে না।’

ভারতীয় সেনার এ দাবির সঙ্গে সঙ্গেই তা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে পাক সেনাবাহিনী। বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর দাবি করেছেন, ‘ভারতের পাকিস্তানি চৌকি গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি ও সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানের গুলি চালানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ 

রাতে পাল্টা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে পাক সেনারা। তাদের দাবি, পাক সেনা নয়, ভিম্বের সেক্টরে স্থানীয় বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। হতাহত হন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। ফলে নৌশেরায় পাল্টা হামলা চালায় পাকবাহিনী। তাতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। ক্ষতি হয়েছে ভারতের সামরিক পরিকাঠামোরও। 

সোনালীনিউজ/ এসও

Wordbridge School
Link copied!