• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত-শ্রীলঙ্কা পাতানো টেস্ট তদন্তে আইসিসি


ক্রীড়া ডেস্ক মে ২৭, ২০১৮, ০৫:১৫ পিএম
ভারত-শ্রীলঙ্কা পাতানো টেস্ট তদন্তে আইসিসি

ফাইল ছবি

ঢাকা: গেল বছরের জুলাইয়ে গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হওয়া ভারত ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মধ্যেকার টেস্ট ম্যাচটি ‘পাতানো’ ছিল বলে বোমা ফাটিয়েছে আল জাজিরা। কাতারভিত্তিক এই টিভি চ্যানেলের অভিযোগ উড়িয়ে না দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক আইসিসি।   

শনিবার আইসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিউজ সংগঠনটি ক্রিকেটে দুর্নীতির যে অভিযোগ করেছে আইসিসি অবশ্যই তার তদন্ত করবে। টেস্ট ম্যাচে গড়াপেটা নিয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। আমাদের হাতে যা তথ্য রয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের সদস্যরা তদন্ত শুরু করেছে।’

গত বছর জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় তিন টেস্টের সিরিজ ৩-০ জেতে ভারত। গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩০৪ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সফর শুরু করে বিরাট বাহিনী। লঙ্কার বিরুদ্ধে এটাই ভারতের সবচেয়ে বেশি রানের জয়। গলে বাইশ গজে সেঞ্চুরির ‘সুনামি’ হয়েছিল ভারতীয়দের ব্যাটে। শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারা সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

শুধু এই ম্যাচটিই নয়, আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালের আগস্টে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া সফরকারী অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটিও ছিল পাতানো! এমনকি চলতি বছরের নভেম্বরে এই গলের মাঠেই গড়াতে যাওয়া ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা টেস্টও আছে বাজিকরদের নজরে!

ম্যাচ-পাতানোর সঙ্গে জড়িতরা আল-জাজিরার একটি গোপন তদন্তে ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে চ্যানেলটি। জুয়াড়িদের কাছ থেকে জানা গেছে, ম্যাচের আগেই তারা মাঠকর্মীদের ঘুষ দিয়ে পিচ বানিয়ে নিয়েছিল নিজেদের চাহিদা মতো। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বানানো হয়েছিল ব্যাটিং পিচ, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেওয়া ম্যাচে উইকেট ছিল বোলিং বান্ধব।

পাতানো ম্যাচ দুটি নিয়ে চ্যানেলটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে একজনের নাম। রবিন মরিস নামের মুম্বাইয়ের এক জুয়াড়িই রয়েছে ম্যাচ গড়াপেটার পেছনে। গল মাঠের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা সহকারী ব্যবস্থাপক থারাঙ্গা ইন্দিকার কাছে প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, চাইলেই কি তারা পিচ বানাতে পারে ইচ্ছামতো! ইন্দিকার উত্তরটা ছিল ‘হ্যাঁ’।

২০১০ লর্ডস টেস্টে পাক ক্রিকেটারদের স্পট-ফিক্সিংয়ের পর গড়াপেটা নিয়ে নড়েচড়ে বসে আইসিসি। লর্ডসেগেটের কারণে নির্বাসন ও জেল খাটতে হয় তিন পাক ক্রিকেটার সলমন বাট, মহম্মদ আমের ও মহম্মদ আসিফকে।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!