ঢাকা: কোনো পাহাড়কে সরানো গেলেও চীনা সেনাবাহিনীকে সরানো যাবে না বলে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। এসময় ১৯৬২ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ভারতকে ভুল শোধরানোর কথা বলে চীন।
সোমবার(২৪ জুলাই) এক ব্রিফিংয়ে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওউ কুয়ান এ কথা বলেন। তিনি এসময় আরো বলেন, পাহাড়ে ঝাঁকুনি দেয়া সহজ। কিন্তু (চীনা) পিপলস লিবারেশন আর্মিকে ঝাঁকুনি দেয়া কঠিন।
ভূখণ্ড রক্ষার ক্ষেত্রে চীনের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে কোনো ধরনের ‘ভুল ধারণা’ পোষণ না করতে ভারতকে সতর্ক করেছে বেইজিং। একই সঙ্গে নয়াদিল্লিকে ভুল শোধরাতেও বলেছে দেশটি। সীমান্ত-সংকট নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভারতের উদ্দেশে এই সতর্কতা দেয়। এনডিটিভির অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
চীনা ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে জোরদার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। বেইজিংয়ের ভাষ্য, গত মাসের শুরুর দিকে ভারতের সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে চীনের ডংলাং অঞ্চলে প্রবেশ করে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণে ভারত বাধা দেয়।
ভারত ও ভুটান এলাকাটিকে ডোকলাম নামে ডাকে। দেশ দুটির দাবি, এই ভূখণ্ড ভুটানের। এলাকাটিকে নিজেদের ডংলাং অঞ্চলের অংশ হিসেবে দাবি করছে চীন। সিকিম সীমান্তে এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে ভারতের প্রতি ফের আহ্বান জানিয়েছে চীন। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত সপ্তাহেই জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতকে যদি সেনা সরাতেই হয়, তাহলে চীনকেও একই সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। দুই দেশ একই সঙ্গে সেনা সরিয়ে আলোচনায় বসতে পারে।
আজ চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ফের বলেছে, যেকোনো ধরনের আলোচনার আগে ভারতকে অবশ্যই সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে হবে। এ প্রসঙ্গে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি নিয়তির ওপর ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না ভারতের। আর তাদের কোনো অবাস্তব ভ্রমও পোষণ করা উচিত হবে না।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলটিতে তাদের সেনাবাহিনী জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। সেখানে আরও সেনা মোতায়েন ও মহড়া অব্যাহত থাকবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা
আপনার মতামত লিখুন :