• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ তিন প্রকল্প


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৬, ২০১৮, ১২:৪৬ পিএম
ভারতীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ তিন প্রকল্প

ঢাকা : ভারতীয় ঋণের টাকায় হচ্ছে না চারটি মেডিকেল কলেজ এবং বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ। পটুয়াখালী, জামালপুরসহ চার জেলায় গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি-২) থেকে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৩২ কোটি ডলার। প্রকল্পটি ভারতের ঋণের তালিকা থেকে বাদ গেলেও একেবারেই বাতিল হয়নি, সরকারি অর্থায়নেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় এটিসহ তিনটি প্রকল্প ভারতের ঋণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় এলওসির আওতায় চার কোটি ডলার ব্যয়ে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের আরেকটি প্রকল্পও বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত— হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের আরেকটি প্রকল্পও।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাতিল হওয়া প্রকল্পের ভারতীয় ঋণ অন্য কোনো প্রকল্প ব্যবহার করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মতি লাগবে। এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, তিনটি প্রকল্প এলওসি-২-ভুক্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলেও সেগুলোর অর্থ অন্য প্রকল্পে যাবে। গুরুত্ব ও বাস্তবতা বিবেচনায় কোন প্রকল্প আগে বাস্তবায়ন করা হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। ভারতীয় ঋণের কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তার আগে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কথা বলেই প্রকল্প চূড়ান্ত করে।

ইআরডি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে দ্বিতীয় এলওসির অনুমোদিত প্রকল্প তালিকা থেকে এ তিনটি বাদ দিতে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে এক্সিম ব্যাংককে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে দুই বিলিয়ন ডলারের দ্বিতীয় এলওসি চুক্তি করে সরকার। এর আওতায় বাস্তবায়নের জন্য যে ১৪ প্রকল্প সরকারের চূড়ান্ত সম্মতি পায় তার মধ্যে ছিল ওই তিন প্রকল্প। তবে ওই ১৪ প্রকল্পের সব কটিতে এখনো ভারত সরকারের চূড়ান্ত সম্মতি পাওয়া যায়নি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!