ভারতে ধর্ষণের শিকার জনপ্রিয় এক নায়িকা

ঢাকা: ভারতে জনপ্রিয় এক অভিনেত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া নায়িকার অভিযোগে পুলিশ সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যে হয়েছে। তবে পুলিশ এই নায়িকার নাম গোপন রেখেছে। 

গণমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, সিনেমার ওই নায়িকা অভিযোগ করেছেন- তিনজন লোক তার গাড়ির ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেছে। নায়িকা জানিয়েছেন, ধর্ষণকারীরা শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার গাড়ির পিছু নিয়েছিলো। তিনি তখন একটি সিনেমার ডাবিং-এ অংশ নিতে যাচ্ছিলেন।

অভিযোগ পেয়ে নায়িকার গাড়ির চালক ও সন্দেহভাজন আরো দুই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ বলছে, তারা আরো তিনজন লোককে খুঁজছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত, তার সাবেক একজন ড্রাইভার এখনও পলাতক।

অভিনেত্রী বলেছেন, এই অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা চলেছে দু'ঘণ্টা ধরে। একইসাথে তার অশোভন ছবি সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ ধর্ষণ, অপহরণ এবং অপরাধের ষড়যন্ত্রের মামলা করেছে।
এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার লোকেরা এর তীব্র নিন্দায় সোচ্চার হয়েছেন।
রাজ্যের কোচিনের মতো একটি শহরে এরকম ঘটনাকে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। এই শহরে বহু নারী রাত করেই কাজ থেকে বাড়িতে ফেরেন। এ বিষয়ে প্রখ্যাত অভিনেতা মোহনলাল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা বন্ধ করার সময় এসে গেছে। এখন আইনের প্রয়োগের ব্যাপারে আমাদের জোরালো ভূমিকা নিতে হবে যাতে আর কেউ এধরনের কাজ করার সাহস না পায়। খুব দ্রুত এর বিচার হওয়া দরকার।

গত কয়েক বছরে ভারতে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলো। বিশেষ করে ২০১২ সালে রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়েছিলো। এছাড়াও দেশটিতে নারী পর্যটক ধর্ষণের শিকার হওয়ায় পরের বছর থেকে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশের পর্যটক কমে গিয়েছে। তার জেরে ধর্ষণ প্রতিরোধে নতুন করে কঠোর একটি আইন প্রণয়ন করা হয়।

তারপরেও সারাদেশে নারীর ওপর এধরনের সহিংসতা সারা ভারতেই অব্যাহত রয়েছে।

সোনালীনিউজ/আতা