• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে পাগলা ষাঁড় নিয়ন্ত্রণে আনার খেলায় নিহত ২


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৮:৫৬ পিএম
ভারতে পাগলা ষাঁড় নিয়ন্ত্রণে আনার খেলায় নিহত ২

ঢাকা: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে ‘পাগলা ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণে আনার’ খেলা পুনরায় শুরু হবার পর এতে অংশ নিয়ে দু’জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে। খেলাটি পুনরায় চালু করাকে কেন্দ্র করেতে দেশটিতে এখনো বিতর্ক চলছে। রোববার এ নিহতের ঘটনা ঘটে।

'জাল্লিকাট্টু' তামিলনাড়ুর একটি প্রাচীন খেলা, যেখানে একটি ছুটন্ত-উন্মত্ত ষাঁড়কে নানা কসরতের পরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এক দল মানুষ। জানুয়ারির ফসল তোলাকে কেন্দ্র করে ভারতে এই খেলার আয়োজন করা হয় অনেক আগ থেকেই। স্থানীয়ভাবে যা 'জাল্লিকাটু' নামে পরিচিত। পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণে এই খেলাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সাময়িক আদেশে পুনরায় শুরু হয় খেলাটি। এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই উৎসব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

অপরদিকে মোদি সরকারের এই আদেশের বিরুদ্ধে সোমবার(২৩ জানুয়ারি) তামিল নডুর মেরিনা বিচে পশু প্রেমিরা সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশ ঠেকাতে পুলিশ লটি চার্জ ও  টিয়ারসেল ছুঁড়ে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্রদ্ধ ষাঁড়কে বশ করার এই খেলা রাজ্যটির ফসল তোলার উৎসবের একটি ঐতিহ্যবাহী রীতি। খেলায় অংশ নেওয়া একদল মানুষের মাঝে ষাঁড় ছেড়ে দেয়া হয় এবং ঐ ষাঁড়ের ওপর চড়ে বসার চেষ্টা করে প্রতিযোগীরা। এ ঐতিহ্যবাহী খেলা সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পাশ কাটিয়ে এক নির্বাহী আদেশ তা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। যার ফলে ২০১৪ সাল থেকে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া এই উৎসব আবার শুরু হয়েছে।

পশু-প্রেমীদের অভিযোগ, ওই ষাঁড়-দমন খেলার আগে সেটিকে মাদক ইনজেকশন দেওয়া হয় আর তাদের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয় আরও ক্ষেপিয়ে তুলতে। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধের এক আইন বলে খেলাটি নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

এই উৎসবটি পুনরায় পুরোপুরি বৈধ ঘোষণার দাবিতে সম্প্রতি প্রাদেশিক রাজধানী চেন্নাইয়ে বড় আকারে বিক্ষোভ হয়েছে।

রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও পান্নির্সেলভামসহ অধিকাংশ মন্ত্রী এই জাল্লিকাটু উৎসবের পক্ষে। এমনকি অস্কার-বিজয়ী তামিল সুরকার এ আর রহমানও জাল্লিকাটুর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/আতা


 

Wordbridge School
Link copied!