• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমা প্রদর্শনে বাধা নেই


বিনোদন ডেস্ক জুলাই ২৪, ২০১৬, ০১:১১ পিএম
ভারতের ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমা প্রদর্শনে বাধা নেই

ভারতের কলকাতায় নির্মিত কমেডি সিনেমা ‘কেলোর কীর্তি’ প্রদর্শনে আর বাধা থাকল না। সিনেমাটি প্রদর্শনে হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে এ সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আরেকজন আইনজীবী একরামুল হক টুটুল বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমাটি বাংলাদেশে প্রদর্শনে আর কোনো বাধা নেই।

নীতিমালা অনুসরণ না করে আমদানি করা ‘কেলোর কীর্তি’ বাংলাদেশে প্রদর্শনের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯ জুলাই হাইকোর্ট এ সিনেমা প্রদর্শনে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পাশাপাশি এই সিনেমা প্রদর্শন করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।

এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।

কলকাতার পরিচালক রাজা চন্দ পরিচালিত ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমাটি গত ঈদুল ফিতরে ভারতে মুক্তি পায়। এ সিনেমায় অভিনয় করেন দেব, মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরাত জাহান, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ। এটি তামিল ‘চার্লি চ্যাপলিন’ চলচ্চিত্রের অনুকরণে বানানো হয়েছে।

গত ১৯ জুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের প্রযোজক কার্তিক দে বাংলাদেশ থেকে ‘রাজা ৪২০’ ছবি ভারতে রপ্তানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘নো অবজেকশন’ সনদ গ্রহণ করেন। ২২ জুলাই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা ছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজের।

কিন্তু এ ছবি ভারতে প্রদর্শন করা হয়েছে এবং ভারত সরকার থেকে কোনো সনদ দেয়া হয়নি। বরং মাত্র তিনদিন পর ২২ জুন বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি ‘কেলোর কীর্তি’ প্রদর্শনের জন্য আমদানি করা হয়।

রিট আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের ছবি আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নীতিমালা ২০১৫-২০১৮ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি আমদানি করতে হলে সমান সংখ্যক ছবি রপ্তানি হতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ছবি রপ্তানি করার পর আমদানি করতে হবে।

এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে প্রথমে কোনো ছবি রপ্তানি হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে এটি প্রদর্শন হতে হবে। বাংলাদেশের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে মর্মে ভারতের সেন্সর বোর্ড ও ফিল্ম বোর্ডের লিখিত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি আমদানি ও প্রদর্শন করা যাবে। কিন্তু ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমাটির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি।

নীতিমালা অনুসরণ না করায় সিনেমাটি প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৮ জুলাই এস এফ ফিল্মসের প্রযোজক শরীফ হোসেনের পেক্ষে এ রিট আবেদনটি করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!