ভারতের সঙ্গে করা কোনো চুক্তিই স্বার্থবিরোধী নয়

ঢাকা: ভারত সফরকালে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকই দেশের স্বার্থবিরোধী নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সাথে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি সম্পাদন হয়েছে- এ ধরনের বিবৃতি সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া, অবিবেচনা প্রসূত এবং বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা মাত্র।

বুধবার (২ মে) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি সম্পূরক প্রশ্নে ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ে সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে কি না জানতে চান। এছাড়া  চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে কী চুক্তি হয়েছিল তা জানাতে তিনি অনুরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ। দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি আওয়ামী লীগ সরকার করবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যা কিছু করি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে দেশের মানুষকে সুন্দর জীবন দেওয়ার জন্য। ভারতের সাথে আমাদের যেসব চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক হয়েছে সবগুলি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য করা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সব সামরিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে ডিটেইল জানতে চাইলে আমি সব দিতে পারব। আরেকবার নোটিশ দিলে পার্লামেন্টে উপস্থাপন করব।

চীন, রাশিয়া, কুয়েত, কাতারসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ডিফেন্সের বিভিন্ন জিনিস ক্রয়ে বাংলাদেশের চুক্তি আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- চীনের সঙ্গে সমাঝোতা চুক্তিটি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে হয়। এই চুক্তির বিষয়ে একটি কথাও তারা বাংলাদেশের কাউকে জানতে দেয়নি। তারা সংসদেও এই চুক্তির বিষয়টি জানায়নি।

বর্তমান সরকার তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক ও তৎপর জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত সফরকালে এ চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জোর আহ্বান জানাই। এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তার সরকার ও আমার সরকার ক্ষমতায় থাকতেই তিস্তার পানি বণ্টনের সমাধান হবে।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফর করেন। ওই সফরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও ৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা, ঋণ মহাকাশ, সাইবার নিরাপত্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরমাণু বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ