• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরা ছবি

ভালো আছে সেই শিশুটি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৯, ২০১৬, ০৯:১২ পিএম
ভালো আছে সেই শিশুটি

সিরিয়া থেকে ইউরোপে যাবার চেষ্টার সময় সমুদ্রে ডুবে মারা যায় আলান কুর্দি। তুরস্কের তীরে তার পড়ে থাকার ছবিটি সারা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল।

এবার ওমরান দাকনিশকে উদ্ধারের ভিডিও ও ছবি বুধবার ছড়িয়ে পড়লে তা ফের সারা বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তাক্ত, সারা গায়ে ধুলোমাখা ভীত শিশুটি একটি অ্যাম্বুলেন্সের সিটে বসে রয়েছে, একটু পরই সে নিজের মুখে হাত বুলিয়ে রক্ত দেখতে পেয়ে চমকে ওঠে।

সম্প্রতি সিরিয়ার আলেপ্পোয় বিমান হামলার পর একটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তার ভিডিও আর ছবি প্রকাশ করে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ওমরান দাকনিশ মাথায় আঘাত পেয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, চিকিৎসার পর ওমরান এখন সুস্থ ও ভালো আছে। প্রথমে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তেমন তথ্য জানা যায়নি। তবে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই হামলার ঘটনায় ওমরানের পরিবারের সদস্যরাও বেঁচে রয়েছেন এবং তারা গুরুতর আহত। ওমরান দাকনিশের চিকিৎসাকারী নার্স এবিসি নিউজকে বলেছেন, চিকিৎসার সময় ছোট্ট শিশুটি একদমই কান্নাকাটি করেনি। সে আমার কাছে তার মা-বাবা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, পরে ওমরানের আহত মা ও বাবাকে তার কাছে আনা হয়। মা ও বাবাকে দেখে সে কান্না শুরু করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ‘সাদা হেলমেট’ নামে পরিচিত সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স মুভমেন্টের ফটোগ্রাফার খালিদ খতিব টাইমকে জানান, ‘ওমরান এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভালো আছে। তার পরিবারের সবাই বেঁচে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওমরানের আঘাত ততটা গুরুতর নয়। তবে তার মুখম-লে বেশি আঘাত লেগেছে। কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ আলেপ্পোতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিরিয়ান বিদ্রোহী আর সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। সহিংসতায় কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছে। বিদ্রোহীদের একটি মিডিয়া সেন্টার জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর কোটের্জি জেলার একটি ভবনে রাশিয়ান বিমান হামলার পর ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সে সময় এই ছবিটি তোলা হয়। ওই হামলায় তিনজন নিহত আর ১২ জন আহত হয়।

হামলার পর ভবনে উদ্ধার অভিযানের সময় ফটোসাংবাদিক মাহমুদ রাসলান ওমরান দাকনিশের ভিডিওটি ধারণ করেন। পরে সেটি আলেপ্পোর মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!