ভালোবাসা দিবসে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

ঢাকা : আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ বা বিশ্ব ভালোবাস দিবসে রাজধানীতে পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ এই দিনটিতে নগরীর কোথাও যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ রেখে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন ও টহল জোরদার করতেও বলা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া গত শনিবার ডিএমপির সদর দফতরে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ সভায় এই নির্দেশ দেন। 

ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিশেষ দিবস রয়েছে। এর মধ্যে পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখ অন্যতম। এসব দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জনসমাগম হয়। সন্ত্রাসীরা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই পুলিশকে আগে থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে সজাগ থাকতে হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন ও টহলব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ছিনতাই প্রতিরোধে রাজধানীতে আরো টহল পুলিশ, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। মাসিক অপরাধ সভায় ডিএমপির সব অপরাধ জোনের ডিসি থেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, বাড়িওয়ালারা তাদের নতুন ভাড়াটিয়া সম্পর্কে তথ্য ফরম নিয়মিত সরবরাহ করছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে খোঁজ রাখতে হবে। যেকোনো এলাকায় নতুন আসা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, অপরাধ সভায় জানুয়ারি মাসে সংঘটিত অপরাধ পর্যালোচনা করা হয়। অপরাধ পরিসংখ্যানের ডিএমপি কমিশনার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। জানুয়ারি মাসে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়। ডিএমপির ‘সেরা বিভাগ’ নির্বাচিত হয়েছে যৌথভাবে মিরপুর ও তেজগাঁও অপরাধ বিভাগ। সেরা সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন কানিজ ফাতেমা। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক, পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মঈনুল কবীর ও কাফরুল থানার পরিদর্শক (অপারেশনস্) মো. কামরুল হোসাইন জানুয়ারি মাসের সেরা পুলিশ পরিদর্শক হয়েছেন।

এ ছাড়া যৌথভাবে সেরা এসআই হয়েছেন বংশাল ফাঁড়ির মোক্তার হোসেন ও মো. শহিদ উল্লাহ। সেরা এএসআই যৌথভাবে খাজা নাজিম উদ্দিন ও মো. বাবুল হোসেন, সেরা কনস্টেবল/১৯৭৩৩ মো. সেলিম মিয়া। গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগে সেরা বিভাগ ডিবি পশ্চিম। ট্রাফিকের সেরা বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে ট্রাফিক-পূর্ব বিভাগ।

জঙ্গি গ্রেফতারে সেরা হয়েছে কাউন্টার টেররিজম বিভাগ। হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে যৌথভাবে সেরা হয়েছেন এডিসি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান ও এডিসি মাহমুদা আফরোজ লাকী। ডাকাত গ্রেফতারে এসি মো. হাফিজ আল ফারুক, নবজাতক উদ্ধারে সিনিয়র এসি মাহমুদ নাসের জনি এবং মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও চোরাই মালামাল উদ্ধারে সম্মিলিতভাবে সেরা হয়েছেন সিনিয়র এসি মো. রেজাউল করিম। সার্জেন্ট মো. আরিফ হোসেন, সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম মৃধা (সুমন) ও সার্জেন্ট মো. জাহিদুল ইসলাম বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই