• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভাস্কর মৃণাল হক ছাত্রদলের সাবেক নেতা?


ফেসবুক থেকে ডেস্ক মে ২৯, ২০১৭, ১১:১৩ এএম
ভাস্কর মৃণাল হক ছাত্রদলের সাবেক নেতা?

ঢাকা: খোন্দকার মোজাম্মেল হক নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে ভাস্কর মৃনাল হক সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে! কিছু বানান শুদ্ধিকরণ ছাড়া খোন্দকার মোজাম্মেল হকের পোস্টটি কোনরূপ সংশোধন ছাড়াই সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য হুবহু প্রকাশ করা হলো। 

‌‌মৃণাল হক-এর প্রথম শিল্পকর্ম দেখি বিএনপির নেতা তারেক রহমানের জেলে থাকাকালীন কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়ালে একটা মুরালে। সেখানে তারেক রহমান হাত ওঠালেন অগণিত পায়রা উড়ে গেল। বোঝানো হলো আসছে তারেক, শান্তির সুবাতাস বয়ে যাবে দেশে। সেই স্বপ্নের দেশ…………।

খোঁজ নিয়ে জানলাম তিনি (মৃণাল হক) একসময়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। বিএনপির মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের শ্যালক।

তার বাবা অধ্যাপক একরামুল হক ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ভগ্নীপতিও দলটির নেতা। হিসাবটা মিলালাম। কিন্তু আমাদের বিচারালয়ে তার গ্রীক দেবীর বিষয়টা মিলাতে পারলাম না। তাকেই জিজ্ঞাসা করেছিলাম আবহমানকালের বর্ণিল ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি জাতি কি গ্রিক ঐতিহ্যের উত্তরসূরি?

খোন্দকার মোজাম্মেল হকের বক্তব্য এখানেই শেষ। এবার অন্যদের কথা শুনুন।

কুমকুম আক্তারের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে আরো বিস্তারিত কিছু জানাগেছে। তিনি লেখেন, ছাত্রদলের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মৃণাল হক ক্ষমতাধর আইন অধিপতির সাথে যোগসাজশে দৃষ্টিনন্দন নয়, অথচ নিম্নমানের ভাস্কর্য সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপন করে ভালোই চাল চেলেছেন, তাদের প্রত্যাশিত অশান্তি বাংলাদেশে চলছে, একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির মধ্যে রাগ অনুরাগ, বামদের অপরিণামদর্শী কার্যকলাপ, হেফাজতিদের আস্ফালন, সবই সমান তালে প্রিয় বাংলাদেশে চলছে।

ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, পাঠকদের অবহিত করার জন্য পুনরায় উল্লেখ করছি–

ভাস্কর মৃণাল হক সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। পিতা-অধ্যাপক একরামুল হক, বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক সদস্য। ভগ্নীপতি বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক।

মৃণাল হক নব্বই দশকে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন, জাতীয়তাবাদী ঘরানার পত্রিকা ‘ঠিকানা’য় তখন এক সাক্ষাৎকারে ঔদ্ধত্য নিয়ে বলেছিলেন, ‘ইচ্ছে ছিল আমি নিজে গিয়ে শেখ মুজিবকে হত্যা করি।’

২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারির মত এবারেও এটি একটি দাবার চাল, ফলে ভাইয়ে ভাইয়ে কলহ শুরু হয়ে গেছে। না বুঝে অনেকে ভাস্কর্য সরানো নিয়ে শাহবাগ উত্তপ্ত করছে, আমরাও বিভ্রান্ত হয়ে সরকারকে ভুল বুঝছি, উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির নির্দেশেই এটা সরানো হয়েছে। 

মৃণাল বিএনপিপন্থি কলামিস্ট মিনা ফারাহ’র ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নিউইয়র্কে মিনা ফারাহ’র অফিসের সামনের মুরালও মৃণালেরই করা। 

ভাস্কর মৃণাল হক কি ভাবে হাইকোর্টের সামনে এই ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ পেলেন?

দেশ যখন উত্তপ্ত তখন বর্তমান সরকারের এক আদর্শিক যোদ্ধা কুমকুম আক্তারের এক পোস্টের বিপরীতে একজন ফেইসবুক বন্ধু দলছুট নক্ষত্র এভাবে মন্তব্য করছেন–
‘কাকতালীয়ভাবে হাইকোর্টের সামনে মূর্তির যে কাজটা হয়েছে, তার প্রেক্ষাপট আমি জানি, এই কাজটার জন্য যে টেন্ডার পেয়েছিলো তার নাম আসিকুর রহমান। প্রধান বিচারপতি মেয়র সাইদ খোকনের সাথে ৩ দফা মিটিং এবং প্রজেক্টর দেখানো হয়েছিল। 

কিন্তু প্রধান বিচারপতি সব বাদ দিয়ে কখন যে কাজটি করে ফেলেছেন তা আসিকুর রহমান তো দূরের কথা, মেয়র সাইদ খোকনও জানেন না। চিটাগাং এর একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আসিকের চুক্তি হয়, আসিক এ কাজটা পাওয়ার জন্য ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন, পরে হতাশ হয়ে পড়ে এবং মেয়র সাইদ খোকন তাকে অন্য একটা কাজ দেয়ার কথা বলে। আমার কাছে প্রতিটি কাজের প্রমাণ আছে, আসিক এখন দার্জিলিংয়ে আছে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!