• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাস্কর্য অপসারণ: দশ বিশিষ্ট নাগরিকের ক্ষোভ


সাহিত্য-সাংস্কৃতি প্রতিবেদক মে ২৭, ২০১৭, ১২:০৮ এএম
ভাস্কর্য অপসারণ: দশ বিশিষ্ট নাগরিকের ক্ষোভ

ঢাকা: দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত গ্রিক ভাস্কর্য অপসারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের দশ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৬ মে) সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ক্ষোভ আর প্রতিবাদ জানানো হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ হতে ন্যায় বিচারের প্রতীক ভাস্কর্য অপসারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, প্রগতিবিরোধী এহেন হীনকর্মে গভীর ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। এই অপসারণ কর্মের মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কর্তৃক গঠিত সরকার কার্যত ধর্মান্ধ মৌলবাদী অপশক্তির কাছে নতি স্বীকার করেছে।

ভাস্কর্য অপসারণে উদ্বিগ্ন বিশিষ্ট নাগরিকরা হলেন- সাংবাদিক ও কবি আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুন, অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শহীদ জায়া পান্না কায়সার, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, শিল্পসমালোচক মফিদুল হক ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

প্রতিবাদ বার্তায় বিশিষ্টজনেরা আরো বলেন, আমরা ভুলে যাইনি যে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের প্রতীক ‘অপরাজেয় বাংলা’ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্যর্থ আক্রমণ করেছিল। এরাই ‘দুরন্ত শিশু’ ভাস্কর্য রাতের আঁধারে নিশ্চিহ্ন করেছিল। এরাই বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেকে একটি ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

এই সংস্কৃতিবিরোধী প্রবণতার বিশিষ্ট নাগরিকরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে ন্যায় বিচারের প্রতীক শিল্পসিদ্ধ ভাস্কর্য প্রতিস্থাপন করার জন্য সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে জোর দাবি জানান। ধর্মের নামে সংস্কৃতিবিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানান তারা।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!